কবিতায় রহিত ঘোষাল

ঘোলা

সব দুরগামী স্বপ্ন আজ
কী মায়ায় বাঁধবো তোমায়
সমাধান নেই ভিজে পথে
চোখের পাতাকে শ্রম ব্যর্থ করে

এমনই পথে হেঁটেছি কত
অভুক্ত আলোর শহরে
পায়ে জড়িয়েছে অবাঞ্ছিত তিক্ততা
নিম্নচাপের অবগুণ্ঠনে

কত না উজ্জ্বল হতে পারত
আমাদের ধারাবিবরণী
ঋতু পরিবর্তন হতে পারত মসৃণ
অন্যরকম বিস্তারে প্রস্ফুটিত হতো সকাল

এখন তোমার মুখশ্রী মনে পড়ে
বিমূঢ় দীর্ঘশ্বাস আদিগন্ত বনান্তের ‌
নির্জন অন্বেষণ
আষ্টেপৃষ্ঠে নিয়েছে ব্রাত্য শাখা
ভ্রাম্যমাণ সুবাতাস
তোমার ফুরিয়ে যাবার খবর আমাকে দেয়নি
বাসনার ফেনাটুকু পর্যাপ্ত আঁধারে
এনে রেখেছে
এনে রেখেছে মোহলিপি
শঙ্কার প্রেক্ষিতে নিভন্ত মনস্তাপ
তোমাকে পাঠাতে চেয়ে
এড়িয়ে যাই ঝলমলে তরল অন্তরাল
ছায়া ছড়ানো কনকনে শীত জ্যোৎস্না
শ্রান্ত শয্যা একাকী শিশির মাখে
জানাজানি হয়ে যায় নয়ানজুলির অদৃষ্ট
প্রাণহীন তোমার সংসার
খুন্তিতে উঠে আসে পাথরকুচির দেবতা
নিষ্ফল অবসাদ সদিচ্ছা হারায়
সমুদ্র লবণের পাখি
আমাদের রুক্ষ চুলে মরা ডাল
এনে রাখে
হরিদ্রাভ অষ্টপ্রহর কানাগলির আবেগ
সাঁতর দিয়ে কাছাকাছি পৌঁছে
আপাদমস্তক ছুঁচ-সুতো হয়ে
লুপ্ত ধূলির কাছে টানটান শুয়ে থাকে

অন্যায় করে!
কল্যাণ করে!
তিস্তা তোর্সা করে!
পবিত্র পায়েস করে!
খালাসিটোলার মেয়েমানুষ উপশম হয়
অধ্যাপিকার সাথে হয় প্রেম
পাশের বাড়িতে শ্যাওলা ধরে
মশারির নীচে তোমার অসামাজিক
যৌন ভিখিরির মতো ঘুম
মাছের মুড়ো নিয়ে ছুট
কাঁচা অর্গ্যাজম তিষ্ঠতে দেবে না
দেবে না খাঁচা
রূপকথার কলঘরে সম্পর্কের ঘাস
ছেঁটে ফেলার কথা ছিল আমাদের
জল জল কণা জল
ইটকাঠ পরিণয়সূত্র
অশৌচের সময় সঙ্গম দাপিয়ে
আমরা সম্ভ্রম ঘোলা করি

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *