অণুগল্পে রমেশ দে

দিন মজুর
জীবন সায়েন্সের ছাত্র। মাস্টার ডিগ্রী করার পর কোনো স্থায়ী চাকরি কপালে জোটেনি। একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি জুটেছে। বাড়িতে বয়স্ক বাবা মা। তাঁদের ইচ্ছা কিছু একটা কাজ পেলে ছেলের বিয়ে দেবে। সেই মতো ছেলে খুব একটা রাজি না হলেও বাবা, মায়ের কথায় ছেলে, মেয়েকে বিয়ে করতেই হয়। বিয়ের একবছর ভালোই কেটেছে। যতদিন যায় সংসারের খরচ যেন বাড়তেই থাকে। বড়ো দাদা সরকারি চাকরি করে। সে এখানে থাকে না। জীবনের চার জনের সংসারে অনেকটাই খরচ আবার জীবনের বউ, মা হতে চলেছে। বাবা, মায়ের ইচ্ছা নাতি, নাতনি দেখতে চায়। তাই জীবনকে আর একটা জীবন আনতে হয়েছে, এই কাজ ছাড়াও সে আর একটা বড়ো দোকানে হিসেব রক্ষকের কাজ নিয়েছে। সংসারের প্রতিদিনের খরচ, ডাক্তার খরচ আর বাড়িতে নতুন অতিথিকে আনতে জীবন কিন্তু জীবনের পরোয়া না করে দিনরাত টাকা রোজগার করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চলেছে। জীবনের মতো কতো হাজার হাজার বেকার শিক্ষার্থীর জীবন এই রকম কঠিন লড়াইয়ের সাথে যুক্ত। যাদের না থাকে কোনো স্থায়ী কাজ তারা নিজের জীবনের সাথে অন্যের জীবন জুড়তে যেন ভয় পায়। তাই তো আজও হাজার হাজার জীবন হারিয়ে যায় বাস্তবের এই হাজারো কঠিন জীবনের এক চরম অধ্যায়ে!!!