|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় রীতা চক্রবর্তী
by
·
Published
· Updated
রিওয়াইন্ড
–হাই
—–হ্যালো
–শর্বরীতো?
—হুঁ।
—রজনীশ?
–হ্যাঁ।
–জানেন শর্বরী, আপনার প্রোফাইলটা খুব সুন্দর।
—–ধন্যবাদ
–ছবিটা কি আপনার ছোটবেলার?
—–কেন ?
–আপনার bio data দেখে মনেহচ্ছে নাযে এটা এখনকার, খুব বাচ্চা লাগছে।
——ধন্যবাদ ।
আপনার প্রোফাইলের ছবিটা আপনারতো?
–মানে?
——আসলে প্রোফাইল পিকটা কেমন বুড়োমার্কা,তাই ।
–মানে? আমিবুড়ো? বত্রিশের ছেলেরা যদি আপনার মতে বুড়োহয় তবে আমিবুড়ো।ফোনটা রেখেদিন প্লিজ।
——রেগে যাচ্ছেন কেন? যদি আঠাশের মেয়েকে বাচ্চালাগে তবে বত্রিশের ছেলেকে বুড়োলাগতে পারেনা?
— কি বলতেচান ?
——বলছিলাম যে, দুজনেই গ্যাস দিয়েছি, তাই শোধবাদ।
—আচ্ছা, শোধবাদ। এবার রাখুন।
——রাখছি, কাল থাকবেন তো !
–আচ্ছা থাকব।তবে বুড়ো বলা চলবেনা ।
——-ঠিকআছে, তবে খোকনসোনা বলব!
–“আমিকি তাই বলতে বললাম?
আমারতো একটা নাম আছে নাকি!”
—–সেটাতো আপনিই বলতে পারেন!
—আবার শুরু করলেন?
—–হুম! আপনি বলাটা বন্ধ নাহলে এরকমই হবে।
–কি জ্বালারে বাবা! আপনি বলাবন্ধ করতেহলে তো কিছু একটা ডাকতে হবে! কিবলব? এইযেএএএ, শুনছোওওও, ভালো লাগবে?
—–ওরকম ভেংচিকেটে বললেকি ভালোলাগে? একটু নরমকরে ডাকলে খারাপ লাগবেনা মনেহয়। একবার ট্রাই করুননা, প্লিজ।
দশম বিবাহবার্ষিকীতে ওরা বন্ধুদের শোনাল নিজেদের প্রথম পরিচয়ের কাহিনী।