T3 ।। কবিতা পার্বণ ।। বিশেষ সংখ্যায় রীতা চক্রবর্তী
by
·
Published
· Updated
শৈশবের শীত
শীতের সকাল ছিল কান্নার কাল।
ভোর বেলা লেপ ছাড়া
সোয়েটার গায়ে জড়া
মুখ ধুতে হাতে লাগে ঠান্ডা জল।
মা’দিতেন জুতো মোজা পরিয়ে।
পড়তে বসতে গেলে
জুতোটাকে খুলে ফেলে
মোজা যেত রোজ রোজ হারিয়ে।
স্কুল যাওয়া সব থেকে ঝক্কি।
সকাল নটায় স্নান
“ঠান্ডা জলেই চান”
জলমাপা যুদ্ধটা প্রতিদিন হতই।
মজাটাও ছিল কিছু কমনা।
পুতুলের নাচ ছিল
যাত্রার গান ছিল
মেলারমাঠে ছিল নাগরদোলনা।
জয়নগরের মোয়া খেয়েছ!
জিরেন গাছের গুড়
শীতের গন্ধ তার
‘মোয়া বলে হাঁক দেয় শুনেছ!
পৌষের পিঠে পুলি জানত!
সবার বাড়িতে হত
মায়েরা হাতে বানাতো
ঘরে ঘরে আনন্দ আনত।
সর্ষের ক্ষেতটাকি দেখেছ!
হলুদ ফুলের মেলা
এক্কা দোক্কা খেলা।
রসের পায়েস কভু চেখেছ!
সেই ছিল আমাদের শৈশব।
কত শীত আসে যায়
তেমনটি আর নয়
সেসময় আমাদের বৈভব।