T3 ।। কবিতা পার্বণ ।। বিশেষ সংখ্যায় রিয়া ভট্টাচার্য

হিমেল অনুভূতিরা

১.

আমি তোমায় অস্বীকার করতে পারি না কোনোমতেই!
ঠিক যেমন কৃষ্ণচূড়ার জন্মলগ্নে মিলিয়ে যায় তার ঘ্রাণ,
হেতালের বন আলগোছে ঢেকে রাখে বাঘিনীর লজ্জা…
মিশে থাকো তুমি এভাবেই আমাতে ;
বরফির টুকরোর মাথায় আলগোছে লেগে থাকা রুপোলি তবকের মত।

২.

উদাসীনতার চাদর মুড়িয়ে রোজ ফেলে যাই তোমায় আস্তাবলের ঘাসের বিছানায়!
হিমজর্জর রাতে তাবৎ শক্তি একত্রিত করে বেহালায় বাজাই অস্বীকার…
উদ্বিগ্ন বিঠোফেন মুখ লোকায় তোমার আহত আর্তনাদে,
তৃষিত যক্ষের মত চেটেপুটে নিই যত বিরহের বিষুবরেখা ;
তারপর চলে যাই দূর থেকে দূরে ‘ তোমায় হারিয়ে ফেলার জন্য।

৩.

উত্তাল সময়স্রোত যখন খিমচে ধরে মুঠি কামড় বসায় অন্তরে!
দীর্ণ কুটিরমাঝে তখন তুমি তোবড়ানো হাঁড়িতে বসাও একমুঠো অস্বীকার,
নবান্নের সুঘ্রাণ কিলবিল করে তাতে বিষাক্ত কালাচের মত…
আমি তখন তোমার ঠোঁটে এঁকে যাই নীলচে অভিশাপ ;
মুহুর্মুহু অস্তিত্বদংশনে মননদ্বার রুদ্ধ করে ফেলার জন্য।

৪.

বিশ্বাস করো ভালোবাসিনা তোমায় একটুও!
তবে তোমায় যাপন করি রক্তকণিকার পঙ্কিল আবর্তে,
নেপথ্যে ধসে পড়া কোরান পুরাণের প্রাচীরকে অস্বীকার করে কবিতা লিখি…
বিনিময়সুতোর গিঁটে ঝোলাই বেনামী মানতের কালো ঘোড়া ;
একবার, শুধু একবার তোমার সিন্দুকের ছেঁড়াখোড়া পুতুলের ন্যায় স্মৃতি মাখব বলে।।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।