কবিতায় স্বর্ণযুগে রবীন বসু

অসুর নিধন

তাঁকে ছুঁতে গিয়ে দেখি, সে আগেই ছুঁয়েছে
রিক্তমাঠ, বাজরা ক্ষেত আর সীমাহীন লাঞ্ছনা।
ফোরলেন হাইওয়ের ধারঘেঁষে শুনশান হাওয়া
রমণীর পোড়া মাংস, গ্যাংরেপ…
বানতলা, কামদুনি, তাপসী মালিক, নির্ভয়া পার
হয়ে মনীষা বাল্মীকির কাটা জিভ হাতে নেয় ।
আমি এই অসহায় বিষাদ আর নির্ভরতাহীন
ভয় থেকে তুলে আনব যে স্পর্শ তাকেও তো
চোখ রাঙাচ্ছে সময় রাজনীতির সারসংক্ষেপ…
মৌলবাদী ধর্ম আজ স্বেচ্ছাচারী শাসক-আসনে।
বিকৃতির দাবানল হু-হু ছুটছে বাতাসকে ধরে
বন প্রান্তর পার হয়ে অ্যাসফল্ট মাড়িয়ে মলের
মসৃনতা থেকে সুখী গৃহকোণের চৌহদ্দিতে…
বাজার-সংলগ্ন এই এত যে মহাফেজখানা
জমে আছে কত ক্লেদ, নির্বিকল্প নিরীক্ষণ
চৈতন্যচর্চিত বিবেক তাকে পাশে রেখে হাই তোলে।
সময় থেমেছে তাই, সভ্যতার রূপকল্প বেহদিশ
রমণী-চিৎকারে ভাঙে সুদৃশ্য দেওয়াল ; ভয়হীন ধর্ষক-গ্যাং তখন নিরাপদে হেঁটে যায় পরবর্তী
শিকারের দিকে। বাজনা বেজে ওঠে দ্রিমি দ্রিমি।
এবার তো জাগরণ পালা, জ্বলন্ত আগুন থেকে
উঠে আসুক ত্রিশূল মুখ, তিন দিক লক্ষ্য রেখে
শুরু হোক অসুর নিধন !
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।