প্রবন্ধে রতন বসাক

সামাজিক জীব হিসেবে মানুষের অধিকার ও কর্তব্য

আমরা মানুষ জাতি সামাজিক জীব। সমাজে আমাদের উত্থান আর এই সমাজেই আমাদের পতন হয়। সমাজ ছাড়া আমাদের অস্তিত্ব অর্থহীন। আমরা কেউ’ই একা বাঁচতে পারি না, প্রত্যেকে প্রত্যেকেরই প্রয়োজন পড়ে। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই কিছু না কিছু বিশেষ গুণ থাকে; কেউ’ই কখনো সর্বগুণ সম্পন্ন হয় না।

এই পৃথিবীর বুকে বাঁচতে গিয়ে সুষ্ঠ ও ভালো ভাবে বেঁচে থাকার জন্য, সামাজিক নিয়ম নীতির মাধ্যমে আমাদের চলতে হয়। এই চলার পথে আমরা অনেক অধিকার ভোগ করি। আবার অধিকার ভোগ করতে গেলে আমাদের অনেক কর্তব্যও পালন করতে হয়। অধিকার ও কর্তব্য একে অপরের পরিপূরক।

কেউ যদি ভাবে আমি শুধুই অধিকার ভোগ করব অার কোনো কর্তব্যই করব না, সেটা কোনোমতেই সম্ভব নয়। আমার যেমন বাঁচার অধিকার আছে, তেমন অন্য আর একজনের কর্তব্য আমাকে না মারার। ঠিক উল্টোটাও আমার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়। সুন্দর রাস্তা দিয়ে আমার যেমন হাঁটার অধিকার আছে, ঠিক তেমন সেই রাস্তাটা যাতে নষ্ট না হয়, সেটা দেখাও আমার কর্তব্য।

আমরা বেশির ভাগ মানুষই কর্তব্য করার আগেই অধিকারটা ভোগ করতে চাই। এই কথা ভুলে যাই যে, যেই অধিকারটা আমরা ভোগ করতে চাই; সেই অধিকারটার জন্য অন্যকেউ কর্তব্য করেছে বলেই অধিকারটা ভোগ করতে পারি। আমার অধিকার আছে খাদ্য খাবার, ঠিক অপর দিকে আমার কর্তব্য ওই খাদ্যের জন্য সঠিক মূল্য দেওয়া।

কর্তব্য ঠিকভাবে করলেই তবে অধিকারের জন্ম হয়। আমি যখন কোনো কর্মসংস্থায় কাজ করি, তখন আমার অর্থ পাওয়ার অধিকার জন্ম নেয় কাজের শেষে। আবার এই অর্থ পাওয়ার জন্য আমাকে সঠিকভাবে কাজটা পুরো করতে হবে। ছলচাতুরী কিংবা ফাঁকি দিয়ে অর্থ উপায় করাটা সঠিক নয়। অধিকার যেমন আমি ভোগ করতে চাই কিংবা বলি এটা আমার পাওনা। ঠিক তেমন সঠিক কর্তব্য পালন করাটাও আমার একটা মানবিক ধর্ম।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।