১|
ঘুমমাখা বিছানায় রোদের পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে আমি
লক্ষ্য করেছি বারান্দার কোণের সেই মানুষটিকে যে কখনো
দুঃখ পায়নি।আড়ালে আবডালে কাঁদতে শেখেনি,সর্বদা
একটা ঈষদুষ্ণ হাসির প্লাকার্ড ঝুলিয়ে রাখত ঠোঁটের কোণে।
২|
প্রতিটা কাকভোরে আমি একটা নতুন মানুষকে দেখতাম
যে কিনা রাতের ট্রেনে চলে যেত সুদূর শান্তিনিকেতন,
বোলপুর, জোড়াসাঁকো।আর সেখান থেকে তুলে আনত
সেইসব পাণ্ডুলিপি যে গুলো রবীন্দ্রনাথের একান্ত নিজের
অবশেষে ফিরে এসে বলত―
“চিত্ত যেথা ভয়শূন্য,উচ্চ যেথা শির
জ্ঞান যেথা মুক্ত,যেথা গৃহের প্রাচীর”
৩|
জানো, অবশেষে এই আমিও দুঃখ পেলাম তোমার এই
মহাপ্রস্থানে। এই তুমি নাকি একদিন রবীন্দ্রনাথের তালে
তাল মিলিয়ে বলতে―
“মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে,
মানবের মাঝে আমি বাচিবারে চাই।”
তবে কেন এই চলে যাওয়া?কেন এই প্রস্থান?
৪|
বলো আগের মত কে ডালভাত বেড়ে দেবে সামনে?কে
সইবে আমার সমস্ত খুনসুটি?ভোররাতে কে শোনাবে
রামায়ণ-মহাভারতের কাহিনী?মায়ের পিটুনির ভয়ে কার
আঁচলে মুখ লুকাব? বলো!উত্তর দাও।