কবিতায় স্বর্ণযুগে প্রদীপ সরকার (গুচ্ছ)

ছন্দ পতন।
লুকোতে চাওয়া চোখের ভাষায়
মুহূর্তে ধরা পড়ে যায়
ভরা বরষাতেও ফাল্গুন অতিথি
তোমার মনের মালঞ্চে
সেই ভালো ভুলে যাওয়া সব আর্দ্রতা।
হঠাৎ কখন অন্য হাওয়ায় ভেসে
গন্ধ ছড়ায় তোমার ভালোবাসা
সবার আকাশে সে গন্ধ সয়না
দম বন্ধ গুমোট দিগন্ত জুড়ে
মেঘ জমায় অকাল আষাঢ়ে।
ঋতু বদল পদে পদে ভুল করে
ছন্দ মেলাতে সৌরমাসের আসা যাওয়ায়
দূষণ যখন বাতাসের বন্ধু
তুমিও কোনো দূষণেই আজকাল
সামনে সর্বনাশ
ভালোবাসার বর্ষা চেয়ে
মন রাঙানো র গান
মেঘ বালিকার নেশায় মেশে
হাস্নুহানার ঘ্রাণ।
বৃষ্টি আসবে আকাশ ভেঙে
প্রেমের গাঙে উজান
বুকের ঘরে ঝড় উঠেছে
অশান্ত মন আনচান
দমকা হাওয়াও মেঘবালিকা
সীমান্ত টপকায়
নষ্ট হবার হাতছানি তে
আঁচল উড়ে যায়।
আড়াল বিলাস।
তোমার রক্ত পলাশ ঠোঁটে
চুম্বনের কবিতা লিখে দিতে
আগ্রহের স্ফুলিঙ্গ দেখোনি আমার দু’চোখে
তাই বুঝি উদাসীন ভেবেছো চিরদিন!
প্রতিদিন অগ্নিভ কামনার অযুত কবিতা
লিখে গেছি ও ঠোঁটে অবিরত;
বোঝেনি কোনো কাব্য প্রেমিক
দেখেনি কোনো আগুন বিলাসী মন।
আমার বুকের আগুন, হৃদয়ের উত্তাপ
ভালোবাসে আত্মগোপন।
তুমি পড়তে পারোনি আমার মনের ভাষা
আমি নইতো কামনাহীন মৃত মমির মতন।