কুছ ইয়াদ রহা যাতে হ্যায়…..
মেরে আওয়াজ কো পহেচান নে….
-কে? কে ওখানে?
বাইরে বেশ জোরেই বৃষ্টি পড়ছে।
মোবাইল অন করতেই সময় রাত দুটো।
ঘুমিয়ে পড়ার আগে ইউ টিউবে চলছিলো।
আরাধনা।
ঐ কন্ঠ মাধুর্য কোন সংগীতপ্রেমী ভুলে যাবে?
ঐ আওয়াজ চিনি চিনি।
সে ঘুম হোক আর জেগে থাকা।
ছোট্ট বেলায় কিছু না বুঝেই গেয়ে ওঠা…
চল চল চল মেরে সাথী ও মেরে হাতি…
ঐ গানেই যেন হাতি কথা শুনবে ঠিক।
মোটর কার ছুটতে শুরু করবে ।
যে যেখানে আছে আনন্দ করে উঠবে ঐ গানের জন্যই তো।
কুছ ইয়াদ রহা যাতা হ্যায়…
সারা স্কুলজীবন তোলপাড়… কিশোর কুমার না কী মহম্মদ রফি
কিশোর এর হয়ে গলা ফাটাচ্ছে একদল কিশোরী……
মনের গভীরে শুধু আলো হয়ে রয়ে যায়….
তুমি যেন ভুল বুঝো না কিশোর কুমার।
বিজলীর আখরেতে লেখা নাম কোনদিন মুছে যাবে না।
পা টিপে টিপে সসঙ্কোচে আসে প্রেম
দু চোখে দেখি না তোমায়
হাওয়া,মেঘ সরায়ে ফুল ঝরায়ে ঝিরি ঝিরি এলে বহিয়া
ভালবাসো যাও বলিয়া…..
সদ্য তরুণ তরুণীর সে কী উচাটন।
খুশিতে ভরেছে লগন…আজ ওঠে মন ভরিয়া।
যৌবন কত না ঘটনাবহুল।
স্বপ্নে ভরা চোখ।
যৌথ কাজের শপথ।
কত আন্দোলনের লে আউট বুকের মধ্যিখানে।
রুখজানা নেহি তু কাহি হারকে…..ও রাহি ও রাহি
বহতি ধারা বন যা,,,একদিন বিত যায়েগা,,,,লা লা লাল্লালা
দিন চলে যায়।কে যেন বলে…..জীবন সে না হার ও জীনেওয়ালে।
বহতি নদীয়া তুঝকো ইয়াদ দিলায়ে সময় যো যায়ে কভি লট না আয়ে…।
এক প্রাণের উৎসব হয়ে গেলো স্বপ্নে সেদিন।
অতিমারীর দুঃস্বপ্নকে কে যেন গানের জোয়ারে ভাসিয়ে দিলো।
স্মৃতি মন্থনে এলো অমৃত।
কিশোর কুমার এক প্রাণের নাম।
কিশোরকুমার উদ্দাম ভালোবাসা।
….কুছ ইয়াদ রহা যাতা হ্যায়….।।