কবিতায় পল্লববরন পাল

পারলে চুম্বন দিও

যে নারী কবিতা হতে পারে, তার ওষ্ঠে আমারই শুধু চুম্বনাধিকার
উপনিষদের দু’শো সাতাত্তর পৃষ্ঠা খোলো – কথা ছিলো লেখা থাকবার
না থাকলেও অবশ্য কিছু না – কারণ সংস্কৃত আমার মাতৃভাষা নয়
নারী আর কবিতার মধ্যবর্তী গণিতের সঙ্গে যার মগ্ন পরিচয়
সে এই অধম, আর আমার চুম্বন পেলে কবিতাও নারী হয়ে ওঠে

চুম্বন শব্দটা যারা উচ্চারণে ‘এম্যাছিছি’, ঘামাচিতে অশ্লীলতা খোঁটে
ঢাকঢাক ধর্ষকামী তারা, কেউ কবিতা টবিতা ঠিক বোঝেনা সহজে
পৃথিবীর অন্য সব কিছু বোঝে – উগান্ডায় অনাহারে মৃত্যু কেন বোঝে
পিকাসোর গুয়ের্নিকা বোঝে, কোয়ান্টামতত্ত্ব, ই-সমান-এম্‌সিস্কোয়্যার
ফ্রয়েড গোদার বোঝে, মার্ক্সীয় দর্শন থেকে পার্লামেন্ট শুয়োরখোঁয়াড়

কবিতাঅক্ষর বাদে – কবিতার জন্য লাগে স্নানশুদ্ধ পবিত্র আরতি
মানুষের চেতনায় আরো বেশি মানবিক বোধ চাই – আবশ্যিক অতি
শ্যাওলাপশম ঢাকা না-স্নান শরীর জুড়ে ছ’মাইল দুর্গন্ধসীমানা
ধর্ষণে অভিজ্ঞ ওরা, চুম্বন-টুম্বনে নয় – ওদের তা বোঝার কথা না

মূর্খতার বিষয়েও ন্যুনতম জ্ঞান নেই মূর্খদের – হে ঈশ্বর শোনো
ক্ষমা কোরো এইসব মূর্খদের, পারলে চুম্বন দিও কখনোসখনো।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।