ওদের কথা আর কানে ঢোকে না
কী যে বলে কানে ঢোকার আগে
কেমন তালগোল পেকে যায়
তবে আন্দাজ করতে পারি ওরা
বোঝাবার চেষ্টা করে ওরা আমার
কত আপন।
ওদের ঐ চিৎকার ওদের ঐ গায়ে পড়া
অসহ্য লাগে ফিসফিস করি সাহস করি না
ছোট বেলায় কারো বাড়ি গিয়ে তাদের বিনা
অনুমতিতে কোন জিনিসে হাত দিলে দূর
থেকে মা গোল গোল চোখ করে তাকাতেন
অমনি হাত সরিয়ে নিতাম ভয়ে। সেই ভয়কে
আজ ও ঝেড়ে ফেলতে পারি নি।
যত ই অভয় দেয় তত ই বাড়ে ভয়।বসে যাওয়া
গাল গুলো কেমন ফোলা ফোলা দেখি তো তাই।
রোজ সকালে এক ফেরিওয়ালা পিক্ পিক্ করতে
করতে আমার বাড়ির সামনে দিয়ে যায়। মাথায়
একটা কাঁচের বাক্সে লাল সবুজ হলুদ রঙের কী
সব প্যাচানো প্যাচানো রাখা। জিজ্ঞাসা করলাম,
কী আছে ভাই ঐ বাক্সে ?
উত্তর এলো —– দিল্লি কা লাড্ডু।।
২। আসছে বৃষ্টি মুখর দিন
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে
জল থই থই উঠোন
সামনে আসছে বৃষ্টি মুখর দিন
উঠোন ভর্তি কাঁকড়া
জড়িয়ে পেঁচিয়ে ধরা
একে অপরের পা।
দূরে দাঁড়িয়ে মাছের পোনা
মিট্ মিট্ করে দেখছে কান্ড খানা
ঝম্ ঝম্ করে নামলে বৃষ্টি
কাঁকড়া গুলো উঠবে এক এক করে
রক্ত খাবে পোনার গলা চিরে
পোনা তখন করবে শুধু ম্যা ম্যা।
যে খাবে বেশী রক্ত সে ই হলো তেজি
কাঁকড়া হলো সর্বভুক স্বজাতি ভোজী।