সকাল থেকেই নীলিমা কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু ফুরসত খোঁজার চেষ্টা করে,খাতা কলম নিয়ে বসার। রোজই যে বসতে পারে তা নয়, আর না বসলে কিছু যেন একটা মিস করে, কিসের অনুপস্থিতি মনটাকে যেন ঘিরে ধরে।
কি যেন লেখার ছিল। কি যেন বলার ছিল।
এ যেন নিজের কাছে নিজের কমিটমেন্ট!
কিন্তু ঐ যে ময়লা ফেলতে গিয়ে জমাদারের সঙ্গে বাচ্চা ছেলেটা আসেনা, ওর সঙ্গে চোখাচোখি হতে গিয়েই তো দেরি হয়ে গেল! যত মায়া ঐ শ্যামল বরণটার মুখে! চোখ ফেরাতে দেরি হয়! যেদিন নীলিমা জমাদারকে একটু খাবার দেয়, সেদিন ছেলেটা না এলে মনটা খচখচ করে,আজকেই ছেলেটা এলো না রে! সেদিন ছেলেটার অনুপস্থিতি, মনটাকে কিছুতেই হালকা হতে দেয়না।
এরকম টুকরো টুকরো “অনুপস্থিতি” নীলিমার রোজনামচা।
কিন্তু হঠাৎ নীলিমার সম্বিত ফিরল। আজ ও নিজেকে কি নামে ডাকলো! এ নামতো সে কোন শিশুকালে কেউ ডেকেছিল! আর আজ এ্যাতোকাল পরে এই মাঝবয়েসে নিজের অজান্তে নিজে ডেকে উঠল !
সকাল সকাল “নীলিমা” নামটার সঙ্গে সঙ্গে নামকরণদাতারও অনুপস্থিতি তাকে নাড়িয়ে দিয়ে গেল !