২০২০ সালের করোনা পরিস্থিতিতে, লক ডাউন এর সময় থেকে ট্রেন হকার হীরেনের রোজগার বন্ধ হয়েছিল। ঘরে ওর স্ত্রী ঝর্ণা , ছোট্ট মেয়ে কুমু আর অসুস্থ মা।রেশনের চাল, ডালে কোনরকমে সংসারটুকু টানছিল ঝর্ণা। করোনার জন্য কাজের বাড়িতেও কাজ বন্ধ ছিল দু-তিন মাস।
তবে ওর কাজের বাড়ির মানুষগুলো ভালো। তার জন্য ওর মাইনে কেটে নেয় নি।
তিন মাসের মাইনের টাকা একসঙ্গে পেয়ে হীরেনের হাতে দিয়ে পরদিন সকালে কিছু সবজি কিনে পাড়ায় একটু ফেরি করতে বলে। তাতে হীরেনেরও মনটা ভালো হয়।
পুজো এলেও, বছরটাই সবই কেমন থমথমে।
তেমন করে কারোরই জামা কাপড় কেনা যায় নি।
পরের বছর বৈশাখের আগে, পারিপার্শ্বিক আর অর্থনৈতিক অবস্থার একটু সুরাহা দেখে, একদিন বিকেলে ঝর্ণা বলল–“মা আর কুমুর একটা করে কিছু কিনতে হবে। আমি মায়ের আনব, তুমি কুমুর এনো।”
পরদিন বিকেলে ঝর্ণার আনা প্যাকেট থেকে একটা শার্ট আর হীরেনের আনা প্যাকেট থেকে একটা ছাপা শাড়ি, বাড়তি বেরোলো।
দুজনেই দুজনের দিকে সজল চোখে তাকিয়ে
মনে মনে বলল—“শুভ নববর্ষ।”