অপলক চোখে তাকিয়ে বিভাবরী
দুচোখে অশ্রু কণ্ঠ রুদ্ধশ্বাস ;
তবুও খেলছে অপলকা এই জীবন মৃত্যু খেলা
প্রশ্বাসে তার গভীর স্বপ্ন-পণ ।
মহামারির এই মৃত্যু মিছিল একদিন হবে শেষ
নতুন প্রাতে সেদিন হবে একটা পৃথিবী দেশ।
২| শঙ্খের জ্বর
এখনো বৃষ্টি নামে পৃথিবীর বুকে
মেঘেদের বুক চিরে সাদা বক ওড়ে;
এখনও মৃত্যু নামে সুগভীর শোকে
পাহাড় ঝরনা কিবা নদীদের ঘরে।
এখন কলম থেমে শঙ্খের জ্বর
সন্ধ্যায় বাতাসেতে ওঠে মৃদু ঝড়;
ওলটানো পাতাগুলো খুঁজে ফেরে হাত
বাংলা ভাষার আজ সুগভীর রাত।
একযুগ অবসান একযুগ শুরু
মহামারি কেড়ে নিল শঙ্খের ধ্বনি;
সাহিত্য আকাশে তুমি অনন্ত তরু
তোমারই ছায়া ঘেরা কবিতার বাণী।
৩| শাশ্বতী
খসে গেছে ফুল বাংলা বৃক্ষ হতে
খসে গেছে তারা একটা চাঁদনি রাতে ;
এখন আঁধার জীবনের রেখাপাত
বাঁচবে কি আর আমার ঘরের তারা !
এখন গভীর চেতনা বিহীন রাত
মহামারি আর রাজনীতি পাশা ঘরে;
তবুও মানুষ হিংসার স্রোতে ভেসে
ভাইয়ের ঘরে আগুনের গোলা মারে।
শাশ্বতী তুমি ঘুমিয়ে আমার ঘরে
জাগবে না আর কখনো দেবেনা সাড়া;
ইতিহাস হয়ে রয়ে যাবে আগামীতে
লজ্জা বইব বিশ্বের দরবারে।
শাশ্বতী তুমি মুঠো তোলো জোর হাত
তোমার সকল ভাইয়েরা জেগে আছে;
রক্ত প্রদীপ জ্বালিয়ে নৃত্য কর
মুছে দাও সব আঁধারের রেখাপাত।
৪| জীবনের সুখ
অজস্র ঘুমের পাহাড় চারিদিকে
তারই মাঝে নির্ঝরিণী চলে;
এ পৃথিবী সুধাময় মরণে জনম খোঁজে রোজ।
মৃত্যুর রূপ হয় ফিকে,
ফেলে আসা ধূসর স্মৃতি ছবি আঁকে ক্যানভাসে;
হাসি নয়,বেদনায় ভরা থাকে জীবনের সুখ।