আন্তর্জাতিক || পাক্ষিক পত্রপুট || এ পলি ঘোষ

অন্তরের ভাষা!

ঝা…লমুড়ি, মু…সাম্বি…
ভুঁড়ির উপর সদ্যজাত শিশুর মতো ইয়াব্বড় ঝুড়ি।

এইযে, মুসম্বি এদিক এসো।

আমার নাম মুসাম্বী নয় …মাংস কিনতে গেলে দোকানদার কে, “পাঁঠা না মুরগি বলেন!”
প্রোডাক্টের সাথে নিজের পরিচয় গিলে খেতে দেবেনা হকারটি। খৈনি খাওয়া দাঁতবার করে ইংরেজী ছোটার বহর দেখে মনেহচ্ছে শিক্ষিত, তবে বাংলাটারই প্রাধান্য বেশি। ইনকামপত্র মন্দ নয়।

থতমত খেয়ে লাজুক হেসে যাত্রী,
“আমি তো তোমার পড়শি নই যে, ছোটোবেলার দেওয়া নাম জানবো!”

গলার স্বরে উষ্মবায়ু ছেড়ে মজা করে বললো, “সেন্টুতে লাগে মাইরি, ঠিক আছে ঠিক আছে, আমার নাম বর্ণ। নিত্য যাত্রীরা জানে!”

রকমারি পসরা … কোনোদিন ঝালমুড়ি, কোনোদিন বা যেকোনো ফল, আবার কোনোদিন বাদাম বা কোনোদিন রঙিন জলেরবোতল। নামের সাথে মিলে পসরাও নানান বর্ণের।

হঠাৎকরে গেটের কাছে ভিড়, সাউন্ডবক্সে ট্রাক করে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান শুনিয়ে মুগ্ধ করছে যাত্রীদের… নাম নাকি তার ব্যঞ্জনা। বর্ণের সাথে দীর্ঘদিনের নাকি প্রেমের সম্পর্ক।

য – ব দুই শব্দের মধ্যে “নিকা”-র অবস্থান হয়নি। কেন হয়নি তাদের অবস্থানই জানে!
হঠাৎ করে ব্যঞ্জনার ভোকালকর্ডে গোলমাল। আওয়াজ স্তব্ধ! বর্ণের সাহায্য নিয়েই ভাব বোঝানো! বিয়ে না করলে কী হবে, ব্যঞ্জনা ছাড়া বর্ণের কণ্ঠও রুদ্ধ।
ভালোবাসার উষ্ণ উচ্চারণ অন্তরের ভীষণ কাছে। ভাব বোঝাতে চিৎকার বা ফিসফিস করে শ্বাসবায়ুরও প্রয়োজন হয় না। দুই চোখের বিনিময়ই যথেষ্ট! কথা, শব্দমালা, অনুভব – নির্বাক কাকলির ঝংকারেই অন্তরের ভাষা!

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।