সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে প্রদীপ গুপ্ত (পর্ব – ১১)

সুন্দরী মাকড়সা

অতকিছু ভাবতে পারছে না ঋষি। ওদিকে অফিস যাওয়ার সময় বয়ে যাচ্ছে। চালু করা পাম্পটাকে বন্ধ করে নীচের তলার বাথরুমে গিয়ে কপাট বন্ধ করলো। আজ আর বাড়িতে রান্না করে খেয়ে অফিস যাওয়া হবে না। সেক্টর ফাইভে গিয়েই ওইসব অখাদ্যকুখাদ্যগুলো গলাধঃকরণ করতে হবে। শাওয়ারটা ছাড়ামাত্র কুঁয়ো থেকে ওঠা ঠান্ডা জল এসে আছড়ে পড়লো, শরীরটা জুড়িয়ে গেলো ওর। স্নান করে কোমড়ে গামছা জুড়িয়েই সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠতেই ও লক্ষ্য করলো, একজন পুরুষ মানুষ বাড়ির গেট পেড়িয়ে বাইরে বেরোচ্ছে। খুব ভালো করে ঠাহর করেও চিনতে পারলো না ঋষি। একটু থমকে গিয়ে ডাকবে কিনা ভাবতে ভাবতেই লোকটা দৃষ্টির বাইরে বেরিয়ে গেলো। এতোটা দ্রুতগতিতে সাধারণত কাউকে হাঁটতে দেখে নি ও।
কে ভদ্রলোক? নীচে কোনো ভারাটের কাছে এসে থাকতে পারেন। কিন্তু এতো দ্রুত…
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচরে, শার্টটাকে গুঁজে নিয়ে কোমরের বেল্টটাকে টাইট করতে করতে ফের জানালা দিয়ে গেটের দিকে তাকালো ঋষি। কাউকেই দেখতে পেলো না। জুতো পড়ে যখন নীচে নেমে এলো ও, দেখতে পেলো মেঝেতে একটা রঙিন খাম পড়ে আছে। কী মনে করে খামটা মেঝে থেকে তুলে, ঠিকানার দিকে চোখ রাখলো ঋষি, না কোনো ঠিকানা লেখা নেই সেখানে। অথচ খামের মুখটা কেউ যত্ন নিয়ে আঁঠা মেরে বন্ধ করে রেখেছে।
এক মুহূর্ত চিন্তা করে খামটাকে হাতের অফিস ব্যাগে নিয়ে গেটের দিকে হাঁটা লাগালো ঋষি। ওর কেমন যেন মনে হচ্ছে নিজের অজান্তেই একটা রহস্যঘন ঘটনার সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলছে ঋষি।

ক্রমশ

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।