সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে প্রদীপ গুপ্ত (পর্ব – ৩)

স্ট্যাটাস হইতে সাবধান

আচ্ছা, একটা কথা বলো তো, ওই মহিলা কি কুকুরগুলোর খাবারের সাথে কোনো নেশার জিনিষ, মানে ভাঙ বা ওই জাতীয় কিছু মিশিয়ে দেয়? নইলে আমার অত ভালো খাবার ফেলে কুকুরগুলো ওই মহিলার দেওয়া ওই পচা, টেকো, আনহাইজিনিক খাওয়ার খেতে কেন ছুটে যায়! দেখো ভাই, এটা কিন্তু আমি শিওর যে মহিলা শিওর সেটাই করেন। এর বিরুদ্ধে আমাদের জনমত গড়ে তুলতে পারি না?
পারিনা মানে? হজার দুচোখ যেন নেচে উঠলো। তুমি – মানে আপনি সাথে থাকলে তো মাইরি বলছি, এই কাজ হজার দু আঙুলের খেল।
— আমি সাথে থাকলে মানে? ফুলটুসি বৌদি অবাক চোখে তাকালেন হজার দিকে। শরীরে যেন দীঘার জলের ঢেউ খেলে গেলো।
– তুমি কি আমাকে থাকতে বললে ভাই? মানে পাড়ার বাড়িতে বাড়িতে —–!
— না, মানে ইয়ে — তুমি সাথে থাকলে এ বান্দা তিরিশ দিনের কাজ দুদিনে নামিয়ে দেবে বৌদি, তোমায় শুধু আমার সাথে একটু বাড়িবাড়ি গিয়ে —
— অসম্ভব। এ কথা তোমার মাথায় কীভাবে এলো হজা? আমি? মানে এই ফুলটুসি চৌধুরী তোমার সাথে বাড়ি বাড়ি — ওহ ডিসগাস্টিং। থাকগে, তোমাকে আর বিষয়টা নিয়ে ভাবতে হবেনা ভাই। ওটা আমি না বুঝে —

হজা একেবারেই এরকম একটা ধাক্কার জন্য প্রস্তুত ছিলো না। কেমন যেন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে রাস্তার ওপরেই দাঁড়িয়ে পড়লো হজা।

ফুলটুসি বৌদি অনেকটাই এগিয়ে গিয়ে ফের পিছিয়ে এলেন। কাঁধের ওপরকার আঁচলটাকে বক্ষাবরণীর ওপর ঠিক করতে করতে হাল্কাচালে বললেন — আমি আসলে একজন ট্রাক ড্রাইভার খুঁজছিলাম ভাই, বুঝিনি যে তুমি রিক্সাটাকেও চালাতে পারো না। আসলে কী জানো – আমার যে একটা স্ট্যাটাস আছে, সেটা তুমি আসলে তুমি —

চলবে

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!