সাপ্তাহিক ধারাবাহিকা -তে পলাশ চৌধুরী (পর্ব – ১৭)

স্টেজের পাশেই স্বয়ংসিদ্ধা

পর্ব – ১৭

“প্রতিটি প্রায়শ্চিত্তের শেষে
আমি পলায়ন ভালবাসি”
পাল্টেছে বা পাল্টে যাচ্ছে এমন নয়, প্রতিটি ধারা পাল্টানোর আগে একটা পালিয়ে যাওয়া আসে, আমরা ছুটতে থাকি। কার থেকে? কেনই বা এই ছুট? কাকে ধরার চেষ্টা? এইসব হাড়ের ভিতর হাড় দিয়ে অগ্রগতির প্রাকৃত থেকে অপভ্রংশ বেয়ে পালি বেয়ে আমাদের আবারও অতিপ্রাকৃতে বাস হয়। পালি কেন পরে সেটা পরে বলবো, তার আগে পলির পলিথিন থেকে ত্রিপিটক ছেঁকে নিয়ে বসে পড়া যাক।
মানব যে মুক্তির ট্যাংক থেকে টেরাকোটায় নিজের প্রতিচ্ছায় পেল, আর কিউনিফর্ম থেকে মহেঞ্জোদারোতে প্রবেশ করে গেল তা কি এমনি এমনি? সবই তাড়না, আর তাড়নাপূর্বক আধুনিক ব্ল্যাকহোলগুলো সামনে এসে আয়ের আয়না হলেই আমরা ছুটতে থাকি বেমালুম।
এ-সব কিছুর মাঝে কিছুটা রাত হয়, ঘুম জড়িয়ে আসে চোখে, ঘুমন্ত ঘুঙুর মাথায় চাড়া দিয়ে ওঠে আর আমরা অপভ্রংশ বেয়ে পালিতে প্রকৃত কবিতাটির সন্ধান পাই। নীহার কেন লিখছে না সে প্রশ্ন তো সময়ের, কিন্তু নীহার কেন ছুটছে সেটা জানা বেশি জরুরী।
ভেবে নেওয়া যাক একটা কোল্ড সারফেস বিল্ডিং, যার বাইরে প্রচুর রোদ, একটা মৌমাছি শুধু ওই রোদের মধ্যেও বেল থেকে জুঁই বেয়ে পলাশে বসছে। সবটাই খিদে, আসলে খিদে থাকলেই অন্যান্য প্রাণীর মতো মানুষও ছুটতে থাকে, রোদ হোক বা জল, ক্ষুধার্ত কবিরা জানে ভিজতে পারাটাই আসল পাওয়া।
কবি যখন নিজের কবিতা থেকে পালাতে শুরু করে ঠিক তার পরেই ঘোর নেমে আসে এবং অসংখ্য ভার্সন ধরে নিতে পারে সে। পাল্টে যায় না কিছুই আসলে ধরার টেকনিক অন্যরূপে কবির তলদেশে বসে বিশ্রাম নেয়।

ক্রমশ…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।