কবিতার কোনো স্পেসিফিক আর্ট হয় না, কবিতা তছরুপ করার একটা দায়, তুমি সৃষ্ট আমি থেকে আমি সৃষ্ট একটা জীবন। একলা ঘরের আটপৌরে তুমি থেকে আপাদমস্তক স্টাইলিশ আমি, এখানে প্রত্যেকের একটা নিজের মতো যাপন আছে। কবিতা যাপন বা কবি আড্ডা বলে আলাদা করে কিছুই হয় না। এই ধরো আমি, যখন একটা অলস খাটের উপর বসি নিজের অলস বৃত্তান্ত খুঁজে পাই আবার যখন তপ্তপোষ পাই তখনই পরিশ্রমী হয়ে উঠি। কবিতা এমনটিই হয়, যখন যে ভাব তোমাকে বাঁচায় তখন সে ভাবের ঊর্ধ্বে উঠে সঞ্চয় শব্দটি লেখা তোমার পক্ষে প্রায় অসম্ভব।
নীহার এতকাল লেখা থেকে বিচ্ছিন্ন, তার কারণও এটাই, সে স্পেসিফিক আর্ট ভেবে লেখার কাছে আসেইনি কবেও, তাকে নিয়ে চর্চার অবসন্ন ভাবটুকুও আসতে দিতে চাইনি সে। ওসব ব্যর্থ দায় বলে কিছু নেই, যা আমার ভাবে তা তোমার ভাবেও থাকতেই হবে এমন দায় নেই। ব্যক্তিগত জীবনে আমি যখনই চর্চার(ভাল বা খারাপ) কেন্দ্রবিন্দু হয়েছি তখনই সেই পরিসরে চুপ থেকেছি, ছিটকে পালিয়ে এসে নির্বিকার জীবন বেছে নিয়েছি, কিন্তু চর্চা হারিয়ে যেতে দিইনি কবেও, নীহারও একই।
ঠিক যে মূহুর্তে মনে হবে বর্তমান লেখালেখি বা স্টাইল শব্দের সিম্ফোনির সাথে নীহারের লেখা মিলবে কিনা, সেই সময়েই নীহার লেখে ফেলে—
“যে চাঁদে তোমরা জ্যোৎস্না দেখো
সে চাঁদে আমি রোজ গর্তের আবির্ভাব লেখি”
আসল বিষয় চর্চা, তুমি রবি না পড়ে সরাসরি বিনয়ে ভর করলে না পাবে রবি না হবে কবি। এই ফাঁকির সাথে নীহার আপোষ করেনি কবেও। যেটা আগেও বলেছি নীহার বরাবর একটা এমন হাতের সন্ধান করেছে যে থিমলেশ কেয়ারলেস হয়ে যাখুশি তাই ইচ্ছে হলেই লিখে ফেলতে পারে, আর এটার জন্য অন্তত শাহিভৃত্যের জন্য সে চর্চা চালিয়ে রেখেছে।
যে খোঁজের কাছে আসতে আমাদের লজ্জা পায়, আমরা ক্রমাগত মুষড়ে পড়ি সেই খোঁজে নীহার জীবন্ত স্ক্র্যাচ। তার ওপর যতই আঁচড় লাগাও এর চেয়ে বেশি বিকৃত করতে পারবে না কবেও। না মানতে পারার ইতিহাস ঘাঁটলে একদিন কেউ না কেউ নিশ্চয় নীহার ধনের গ্যালাক্সি সন্ধানে বেরিয়ে পড়বে নিশ্চিত।