গদ্য কবিতায় পাপড়ি ভট্টাচার্য

নারীর ভূমিকা

কবির কল্পনায় বনলতা বা নীরারা
আজীবন রানী হয়ে থাকে কাব্যমননে
অধরা তারা তবু হৃদয়ের নারী।
বাস্তবে আজও নারী কাঁদে নিভৃতে
অপমান অবহেলার পরেও ভালবাসে
প্রতিবাদে মাথা তুলে দাঁড়াতেও পারে,
ইতিহাসের গঙ্গা, দ্রৌপদী,খনারাও
ফিরে ফিরে আসে নতুন জন্ম নিয়ে
হেঁটে যায় যুগ থেকে যুগান্তরে। ঋক বেদ থেকে একুশ শতক পর্যন্ত নারী রা রাজা হয়না।প্রজাও হয় কি?রাজা প্রজার ঘরনী, সন্তানের জননী।যুগের পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী আরও নানা পদে নারী স্বমহিমায় উজ্জ্বল। তবুও বাস্তবে একই ট্র্যাডিশান চলছে। কোনো না কোনো পুরুষের ছত্রছায়ায় সন্তানের জন্য, সংসারের জন্য সরকারি চাকরিও ছাড়তে বাধ্য হয়।
আজও নারীদের ভুমিকা একই রকম।যিনি সুলতানা,রাণী, কবি, লেখিকা সবারই শ্বশুর ঘরে চালচিত্র একই রকম।কন্যাশিশু বর্ষ পালিত হয় দিকে দিকে। গোপনে চলে নারী ভ্রূণ হত্যা।ব্যবসার জন্য মাতৃত্ব পর্যন্ত কেড়ে নিচ্ছে।
এরপরেও কি বলা যায় নারীদের ভূমিকা পাল্টে গেছে? ঘরে, বাইরে হাসি মুখে সবাইকে ভালো রাখতে, নিজেকে ভালো রাখতে কোমল -কঠিন ,মাটি ও পাথর ছাঁচে নারী বাঁচে নানা ভূমিকার ক্যানভাসে।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!