সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে পিয়াংকী (পর্ব – ১৭)

স্টেশন থেকে সরাসরি

ইংরেজি ৩০শে আগস্ট ২০২১
বাংলা ১৩ই ভাদ্র ১৪২৮
সোমবার

সিঁড়ি বেয়ে উঠে আসার পর দীর্ঘশ্বাস। ঠিক যেন গাড়ির ব্রেক। থামিয়ে দেবার জন্য যারা দাঁড়িয়ে থাকেন রাস্তার আশেপাশে তাদের শরীর জুড়ে আমি কৃষ্ণচূড়া দেখি,টকটকে লালের মাঝে সবুজের ঘনত্ব, একজন যেন অন্যজনকে ছাপিয়ে যেতে চাইছে।চলতি পথে আগলে নিই এদের দু’জনকেই।
কতকিছু বলার জন্য বেজে ওঠে ঠোঁট, বাতাস ঢুকে আসে বুকের বাঁদিকে,গোপন ডেরায় সবটুকু ফাঁকা। ঋতু আসে,চলেও যায়।রেখে যায় আবছা দাগ, নিরাময় থেকে সামান্য নুন চুরি করে ঢুকিয়ে দিই সেমিজের ভেতর।
আমি পড়তে শিখিনি। শুধু লিখে নিতে দেখেছি নিজের ওজনটুকু।চার আঙুলের আড়ালে সূর্য ঢলে পড়ার পর তাঁকে পুরুষ বলে চেঁচিয়েছি বহুবার। আসলে আড়ালটা হল ধ্রুবক।বীজগাণিতিক পদ্ধতিতে যেমন এ অথবা বি ধরে নিলে পথের মাটি কাটতে সুবিধে হয় ঠিক সেভাবেই অসংজ্ঞাত ফিগারকে ওয়াই ধরলেই এক্স ফ্যাক্টর তুঙ্গস্থ থাকে , ততদিনই থাকে যতদিন পিতা আর পুত্রের বয়স নিয়ে বাঙালি খাবার পাতে কেসিনাগ আওড়ায়
এত ক্যাঁচড়া আজকাল আর ভাল্লাগে না।বয়স বাড়ছে আস্তে আস্তে। বুঝতে পারি। আর পারি বলেই এসব ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিই একদিন ভরদুপুরের কাক ডাকার শব্দে। রাস্তায় দু’টো কুকুর চিৎকার করে ।বাড়ির নৈঋত কোণে একটা বিড়াল কাঁদে। প্রতিবেশী বলেন ” কু’ ডাকতাসে খুব”। আমি বলিনা কিছু।শুধু তার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকি নিথর হয়ে
সিঁড়ি আমার গা বেয়ে বেয়ে গাছে ওঠে আর ততক্ষণে নদীতে ছিপ ফেলে আমি অপেক্ষা করি আমিষের…
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।