সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে পিয়াংকী (সাবেক কথা – ১৫)

সাবেক কথা

ইঁদারা

দিন কেটে গেছে, আরও কাটবে। ইতিউতি উঁকি দেবে পায়রা অথবা মানুষ। স্টেশন যাবে,ফিরে আসবে বাড়িঘর। দুয়ার খুলে দাঁড়িয়ে থাকবে মা এবং মায়ের মতো দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের ইঁদারা। জল শুকোবে,আবার ভরে যাবে অনায়াস চলাচলে। মায়ের চোখ আর ইঁদারার দেয়াল,বন্দীদশা পেরিয়ে মুক্ত হবে ঠিক একদিন।

আমি ভাবি,এতসব। ভাবি কারণ ভাবা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। ওই দূরে যে পথ চলে গেছে কয়েকশো বছর পেছনে, সেখানে একটা ইঁদারা ছিল,একটা বালতি ছিল।ছিল একটা দড়ি। মোটা মজবুত একটা ফ্যাকাশে দড়ি। দড়ির নিজস্ব আন্দোলন ছিল, জলের ওজন বইতে বইতে সে যখনই ক্লান্ত হয়ে পড়তো তখনি ডুব দিতো সেই জলের ভেতরেই। যেভাবে আমরা কষ্ট পেলে ঢুকে যাই কোনো এক আঁচলের ফাঁকে, শোকের ছায়ায়।

একটা নৌকা। দাড় পাল নিয়ে সংসার। রাতে রুটি আর দুপুরে ভাতডালের ভেতর গুচ্ছের শুকনো ডালপালা, পাখির আওয়াজ। বিষাদের ঘরে মোমবাতি। ইঁদারা আছে,খেয়ালের জন্য। অগোছালো উশৃংখল আমি কে নির্দ্বিধায় বাড়ির রাস্তা দেখিয়ে দেবার জন্য। ইঁদারা আছে এপারওপার করার জন্য।

ফেরা বড় মায়া,কালো বিড়ালের গায়ে হলুদ রঙের ছোপধরা দাগ। বাড়ি ফিরলে সে মিউমিউ করে, তারও ওই ইঁদারা অথবা আমি ছাড়া নিশ্বাস নেবার দ্বিতীয় কোনো উদ্দেশ্য নেই।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।