ইংরেজি ৯ই আগস্ট ২০২১ বাংলা ২৩শে শ্রাবণ ১৪২৮ সোমবার
আজ তেইশে শ্রাবণ। আগামীকাল হবে চব্বিশ। গতকাল ছিল বাইশ।এই বাইশ এখন আর কোনো তারিখ নয়,বাইশ মানেই অহংকার বাইশ মানেই গর্ব। তিঁনি আমাদের মানসিকে শারীরিকে আর্থিকে সামাজিকেও জড়িয়ে থাকা একটি চরিত্র। কত কাটাছেঁড়া কত প্রেম কত সুখ আর কত অসুখের মধ্যবর্তী দেয়াল হয়ে রয়ে গেছেন এতগুলো বছর।
অথচ কোনো টু শব্দও নেই..
আচ্ছা, দেয়ালে দেয়ালে ধাক্কা খেতে খেতে কী ওনার একবারও কেটে হেঁচড়ে যায়নি?রক্তমাংসের একটা মানুষ অথচ তার ব্যথা প্রকাশ হয়েছে সৃষ্টিতে। আজও মৃত্যুর এতগুলো বছর পরেও সমানভাবে চর্চিত একটি বিষয় রবীন্দ্রনাথ।
কখনো রাণু কখনো ওকাম্পো কখনো কাদম্বরী এসব ভাবতে ভাবতেই ট্রেন এসে দাঁড়িয়েছে নির্দিষ্ট স্টেশনে। নেমে পড়তেই দেখি একটা ব্যানার পেতে বসে আছেন এক বৃদ্ধ , সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কিছু খুচরো পয়সা।একটা অ্যালুমিনিয়ামের থালা।ব্যানারে লেখা, “ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু”
*
পথে ঠিক কতটা কে পিছিয়ে পড়ছে এসব চিন্তা করার আগেই চোখের সামনে ঝম-ঝমা-ঝম-ঝম। প্ল্যাটফর্মের চা-পান গুমটিতে রেডিও এফএম।নাইন্টি এইট পয়েন্ট থ্রী। “আজি ঝরঝর মুখর বাদর দিনে”। কীইই আশ্চর্য আজ কিন্তু বাইশে শ্রাবণ নয় অথচ এখানেও তিঁনিই সূত্রপাত।
বেঁচে থাকা একটা মিথ,এখানে এক পা এগোনোর আগে পরে ভাবতে থাকি কতটা লস হল বা কতটা লাভ। কিন্তু এ সবকিছুর ঊর্ধ্বে হল টান। এই টান কখনো মোহ কখনো মাকড়সার জাল কখনো যেন একটা অদৃশ্য দড়ি।এপার থেকে ওপার টানটান উত্তেজনা।
ভীমশেন যোশী হোন বা আনন্দ শংকর বা শচীন তেন্দুলকর অথবা রবীন্দ্রনাথ। এরা প্রত্যেকেই ডিফারেন্ট ফ্লেভারের একেকটি থেরাপি আর থেরাপি বলে, স্পর্শ না করে না ছুঁয়েও ধরে নেয়া যায় হাত। কান না পেতেও শোনা যায় সমুদ্রের গর্জন।
সময় তারিখ বার মাস বছর খ্রীস্টাব্দ এসব তো মানুষের বোঝার সুবিধার্থে ব্যবহৃত শব্দ। ঠিক যেমন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন, ডাউনলোড করলেই চলমান দৃশ্য। লালনফকির অথবা অর্জুনদ্রৌপদী…
“মা”…
বেঁচেবর্তে আছি। মনুষ্যজন্ম সার্থক। কারণ সর্বাপেক্ষা বৃহৎ থেরাপি এবং অ্যাপ্লিকেশনের নাম “মা”