গদ্যের পোডিয়ামে পিয়াংকী – ধারাবাহিক – (সপ্তম পর্ব)

ওরফে তারাখসা এবং তুমি বালক

   এসব  ঝুরঝুরে বালির দেয়াল ধ্বসে যাবার পর  ‘হ্ম’ খুলে রাখে সবকটা দরজা। তিরতির নদীর জলে ভেসে যাচ্ছে কুলো। কানাঘুঁষো রাত পেরিয়ে ঘরে ঢুকতে চায়  অমাবস্যার দারিদ্র কিন্তু কীই ভীষণ আচ্ছনতায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশের বসন্তদিন। যেন কতকাল কথা হয়নি,যেন পুকুর পাড়ে বসে ছিপ ফেলবার ধৈর্যটুকুও অযথা।

এখন ঘোর সন্ধ্যা, শাপলাঝিলে ঝিঁঝিঁ লাগা মগ্নতা। তবু আলোআঁধার পথে শর্করা বাড়লে গিজগিজ করে যে-সব গুবরে পোকা তাদের উদ্দেশ্য করে টর্চ হাতে এগিয়ে আসে ‘হ্ম’। নিরাকার নিঃশর্ত। রে-রে শব্দের সর্বোচ্চ উচ্চতায় যাতায়াত তার। ঘর থেকে বেরিয়ে গেছে ছেলে। তন্নতন্ন তোলপাড়ের পর বৃষ্টিঘরে টিমটিমে আলো। “এতকাল কোথায় ছিলি, মায়ের কোলআঁচলে জমা হচ্ছিল রাজ্যের জন্মক্ষণ তা কি দেখিসনি বাপ?”, ছেলে নির্ভার,নিরুত্তর।

ভাতের ফুটফুট আওয়াজ উপেক্ষা করে  পাড়াপড়শির হাঁকডাক। বিরক্তিকর টগবগে খিদে খিলখিলিয়ে হেসে চলেছে ঘরের চালে। টপটপ পড়ছে। তাহলে,  স্ফুরণ শেষ হবার পর পরই কি মিলিয়ে যায় চুম্বনজল? টলমল পা সরোবর অবধি পৌঁছতে যত ক্রোশ ভর্তুকি লাগে তার হিসেব কেউ কি রেখেছে কখনো?  তিনশ’দশটি ভোর অথবা তিনশ’দশটি দুপুর… কিভাবে একটু একটু করে আকার পায় সে।

যোনীপথে ঘুম। ধুইয়ে দিচ্ছ দুয়ার, আড়ভাঙা শরীরে মিইয়ে যাওয়া উদ্ধারকাজ। চুপচুপ পায়ে বিড়াল এল। গুটিসুটি হল যতিচিহ্নরা, লাজুক।সম্মোহন এড়িয়ে নিশ্চিন্ত ভাতঘুম,জুঁইগাছ হোক অথবা রূপচাঁদার আঁশ, ” বাপ আমার,তুইই ব্যাটা আমার চিতায় দেয়া শেষ কাঠের যোগানদার”

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *