সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে পিয়াংকী (সাবেক কথা – ১৯)

সাবেক কথা

নোড়া

ইষ্টদেবতার আসন জুড়ে অসংখ্য ফুল ধূপ অথবা ফেলে আসা শাঁখ। চিরাচরিত বাঁধন, দীর্ঘ গিঁট কয়েক জোড়া রাজহাঁস। দক্ষিণপূর্ব কোণের নোড়া থেকে বেরিয়ে আসছে দৈত্য। ঝাঁপিয়ে পড়ছে সিংহাসনের ওপর। ঢাল নেই তরোয়াল নেই অথচ নিমেষেই ভ্যানিশ হয়ে যাচ্ছে পূর্বতন বিষাদ। আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে তারা, যারা একটা সময় নিজেদের ফেলে দিয়েছিল আস্তাকুঁড়ে। এখনো সময় আছে। এখনো রাস্তায় বাঁধা আছে খুঁটি। নোড়ার গায়ে এখন শ্যাওলা। পিছল বনভূমির ভেতর যেভাবে পথ জন্মায় সেভাবেই দেবতার শরীরে বিস্তৃত পথ।

জীবনের প্রান্তিক স্টেশন। ধোঁয়া ধোঁয়া আবছায়া, অন্ধকারের ভিতরে বসে আছেন এক সাধক। সাধকের ভিতর আরেক অন্ধকার। নোড়া দিয়ে পিষে ফেলছেন জড়িবুটি গাছপাতা আর অবিন্যস্ত যা কিছু। প্রলেপ প্রয়োজন। জীবনে অথবা ত্বকে।

এগিয়ে আসছেন তিনি, মার্গদর্শনের ভেতর দিয়ে, জমানো খুচরোর ভেতর দিয়ে অথবা সেই সবকিছুর ভিতর দিয়ে যেখানে নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর কেউ না কেউ বসে থাকেন নোড়ায় দেওয়া আঘাত বুকে নিয়ে

২৪ শে পৌষ
দুপুর ২ঃ৩৭
ইছাপুর

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!