গদ্যের পোডিয়ামে পিয়াংকী – ধারাবাহিক – (পঞ্চদশ পর্ব)

ওরফে তারাখসা এবং তুমি বালক
স্বীকার করতে পারি, সর্তক থাকতে পারি কিংবা সন্দেহ করতে পারি, আষাঢ় এলে আমি ডেঁয়ো পিঁপড়ের মতো লেগে থাকতে পারি সমস্ত আনত আড়ালে। ‘Write the odds and draw that magical turn’ বলেই তিনি জলবায়ু হয়ে যান নিশ্চিন্তে আর এদিকে এক অন্ত:সার বৌ শাপলা বিল থেকে সংসার নিয়ে আসে কাঁধের দাগে। মোক্ষ’র জন্য এই যে যুদ্ধ তা কি একটি পৃথক বর্ষা নয়?
শিকারী সে। যুদ্ধংদেহী বীভৎসতা প্রকট তার সর্বাঙ্গে। সফর নিয়ে তার হাহুতাশ, কালীঘাটের পটজন্মের মতো সত্যি। এদিকে একঢাল চুলে জুঁই লাগিয়ে দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছে প্রিয়তমা। এখন কী করণীয়? বর্ষা নাকি ঘরকুনো ব্যাঙ? কাকে আশ্রয় করে সামনে এগিয়ে যাবে আষাঢ়ের নায়ক?
শূন্য বেজে যাচ্ছে দূরের গ্রামে। আদার ব্যাপারী, জাহাজের পটভূমিতে বসে বসে বাড়িয়ে ফেলছে বয়স। নৌকায় দেহ তুলে দিয়ে মন ভাসিয়ে দিয়েছে জলে। যাহ্। যেখানে ইচ্ছে করে চলে যা মন। জল দাঁড়ায় না, জলের নির্দিষ্ট গতি নেই জাড্য নেই, অঙ্কহীন উদ্দাম সে। জলের সাথে থাকলে ভালো থাকবি তুই, মন। ভাসবি খেলবি ঢাকবি, ডাকবি প্রয়োজনে।
শূন্য থেকে এখন আলো বেরোচ্ছে। একদিন এই আলো বৃষ্টির মতো হবে,পরিমাণে। মেঘ হয়ে উঠবে আরেকটি পৃথিবী, আরেকটি আশ্রয়স্থল। সেদিনও ভরাকোটালে শুয়ে থাকবে অনুতপ্ত প্লাবন…