কাব্যক্রমে নিবিড় সাহা

১| দ্বীপ

উচ্ছাসী এক নদী চেয়েছিলাম,
দিলে একটা টিয়া রঙের দ্বীপ l
ভেবেছিলাম আঁজলা ভরে নেবো l
ভিজিয়ে দিলো উথাল পাথাল ঢেউ,
দূরের খেয়া আবছা স্মৃতির বিন্দু,
অবচেতন সাগর তীরে শরীর অন্তরীপ l
দূরের যে দ্বীপ হলো না আজ দেখা
সে, না পাওয়াদের সঙ্গ খুঁজে নিক l
যা আছে তা যত্নে রেখে দেবো
দূরে কোথাও স্বপ্নে ভাসুক কেউ,
পাখির সাথে ভাব জমাবো এবার
নদীর কাছেও পৌঁছে যাবো ঠিক l

২| ভোরের বেলা নদী

বারেবারে ভোর ছুঁতে চাই l
যার থেকে শুরু হয়, কোনো
সতেজ শিশির ভেজা দিন,
তার কাছে নদী খুঁজে পাই l
বারেবারে নদী ছুঁতে যাই l
সেই স্রোতে ভেসে যাওয়া যায়,
যে অতল আয়নার মতো
তারই কাছে ভোর খুঁজে পাই l

৩| বেড়াল

দুঃখ গুলো ঘাপটি মেরে বসে আছে
হেঁশেলের জানলার পাশে l
মরচে ধরা চাঁদের আলোয়
দু এক টুকরো মাছের মতো সুখ,
ভাঙা জোৎস্নার দানা হয়ে
সেই বেড়ালের চোখে ভাসে l
উপোসী চোখ আর উপায়ের মাঝে
সীমানার বেড়াজাল l
শিকল পরানো থাবা ছুঁয়ে আছে
জীর্ণ ফাগুন কাল l
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।