কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে নিশিকান্ত রায়

ক্ষুধার্ত কবিতা
পাখিদের ঠোঁটে উড়ে গেছে সূর্যের ডানা
বৃষ্টির গান থামিয়ে
ফুটফুটে জোছনার ফাঁকে
আলপনা এঁকে চলে গেছে সোনালি শস্যের ক্ষেত
পাখি হয়ে গেছে অনেকেই
সুখ দুঃখের সমান্তরাল রেলপথ ছুঁয়ে ছুটে চলে ট্রেন
যারা গেছে কেউ ফিরে আসে নি এখনও
পাখিদের বৃক্ষ লাগে আকাশের মতো
সোনা সোনা রোদে ছিঁড়ে যায় মেঘ
পাল উড়িয়ে নদীগুলো ঢুকে যায় পেটের ভেতর
পেট ভর্তি আগ্নেয়গিরি থেকে বয়ে যায় জলের নহর
মূল্যবৃদ্ধি, মহামারি ও মানবতাহীন মৃত্যুতেও বেঁচে থাকে
পঙ্গপাল ভারাক্রান্ত নির্লজ্জ ক্ষুধা
প্রেমের বদলে ক্ষুধা ফেরি করে জন্ম জন্মান্তর ফেলে যায় গহীন শ্রাবণ
ঘেউঘেউ সঙ্ঘবদ্ধ হাহাকার ঘুরে আসে নীল স্রোতে
ঝুলন স্বর্ণলতা ঘাড়ে চেপে বসে
নির্জনতা ভাঙে এক দরিয়ার মাঝি
পৃথিবী প্রসব করে ক্ষুধার্ত ছায়ার আড়ালে দীর্ঘতম কবিতার সারি।