মার্গে অনন্য সম্মান নীল মিত্র (সর্বোত্তম)

অনন্য সৃষ্টি সাহিত্য পরিবার

সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা পর্ব – ১৩২
বিষয় – সর্ম্পকের দীর্ঘসূত্রতা

দাবদাহে জ্বলছি

বৈশাখী উষ্ণতায় যখন চারিদিক জ্বলছে ঠিক সেই সময় একটা কল এলো সমিত এর কাছে “আমি আজই তোমার সাথে দেখা করতে চাই, খুব প্রয়োজন”। এটুকু বলে চৈতালি অনুরোধ করল সমিত-কে এখুনি আসতে। এরকম করে চৈতালি তো কখনও বলেনি। চার বছর তাদের সম্পর্ক। একে অপরকে ভালোবাসে। সমিত চাকরি পেলেই ওরা বিয়ে করে নেবে। সর্ম্পকের দীর্ঘসূত্রতা থাকা সত্ত্বেও আজ হঠাৎ কি হল! সমিত বললো তুমি ময়দান মেট্রো স্টেশন এ চলে এসো, আমি পৌঁছে যাব এক ঘন্টায়।
তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে সমিত বেড়িয়ে গেল। চৈতালি ও এলো। খুব চিন্তাগ্রস্ত লাগছে আজ চৈতালিকে, ওর মুখটা যেন দাবদাহে পুড়ে গিয়েছে।
নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে চৈতালি বললো ” আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। পাত্র ইন্জিনিয়ার। বাবার বন্ধুর ছেলে পল্লব, সরকারি চাকরি করে।
এই কথাটা শুনে সমিত কি বলবে বুঝতে পারছিল না। ওকে আটকাতেও পারবে না কারণ সমিত এখনও চাকরি পায়নি। চৈতালি একটু দ্বিধা নিয়েই বললো “সমিত তুমি আমাকে ভুলে যেও”। এখানেই শেষ হলো ওদের সর্ম্পকের দীর্ঘসূত্রতার প্রতিশ্রুতি।এরপর চৈতালি ওখান থেকে চলে গেল।
সমিত রাস্তায় দাড়িয়ে রয়েছে। ওর জীবনটা এক মূহুর্তে পাল্টে গেল। গ্রীষ্মের দাবাদহে তার শরীরটা পুড়ছে। তবু যেন সে কিছুই অনুভব করছে না, মনের ভিতরে যেন আগুন জ্বলছে। সেই দাবদাহের কাছে রোদের দাবদাহ যেন ম্লান হয়ে আসছে। সমিত দাবদাহে পুড়ে শেষ হয়ে যেতে চায়।।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।