কোর্টরুম চত্বরে দাঁড়িয়ে সুমেধা।আজ কেশবের সাথে তার ডিভোর্স কেসের ফার্স্ট ডেট।বিচারকের পরামর্শে গত ছয়মাস আলাদা থাকার পর আজ দুজন মুখোমুখি।
লেখাপড়ায় ভালো শান্ত স্বভাবের সুমেধা, বাবা-মা সুপাত্র কেশবের সাথে বিয়ে ঠিক করলে বিনা বাক্যব্যয়েই রাজী হয়েছিল।শর্ত একটাই ছিলো সে ডাক্তারি পড়াটা চালিয়ে যাবে।কিন্তু বিয়ের পর বুঝতে পারছিল বৌ ডাক্তার হোক তা খুব একটা মেনে নিতে পারছে না ব্যাবসায়ী স্বামী।তার মেল ইগো স্ত্রী কে বাড়িতে থাকতে দেখেই বেশি সন্তুষ্ট।
” কি এমন অভাব রেখেছিলাম যে তোমায় এই সিদ্ধান্ত নিতে হলো!” কেশবের কথায় ঘোর কাটলো সুমেধার।
“সবচেয়ে দামী বস্তুটার অভাববোধই আমায় এই সিদ্ধান্তে নিয়ে এসেছে কেশব এবং যেটার অভাব তোমার থেকে প্রকট ভাবে পেয়েছি গত দু’বছরে।আমার আত্মমর্যাদা।”