বর্ষায় প্রেম সংখ্যার কবিতায় নন্দিনী মুখোপাধ্যায়

ছায়ার ভাষা জানি না, বৃষ্টি , বৃক্ষতল
জীবন রণকৌশলে অনুবাদ করি,
তেমন সরেস হয়না তবু,
হলে হতে পারত জানি সহজ ও বহুল পঠিত
কিম্বা এঁটেল মাটি , কাদা জমি,
শ্বশুরের ভিটে, আর সবুজ ফলন্ত শশা, লাউ , কুমড়ো ডগার বসত।
সামান্য ঠেকনো দিয়ে তুলে ধরা জীবন যেখানে
আবাদের আশা করে বাজিয়েছে শাঁখ, আর এলাহী ভরসা।
বদলে হিংসার ভাষা ভেসে এলে, বানে টেনে নিয়ে যাওয়া, বাঘে, সাপে, ঘুর্ণিঝড়ে মরাই দস্তুর ,
মঞ্চ ছেড়ে বেরোবার সহজ আর চলতি উপায়
যার উল্টো দিকে ভয় ও প্রমাণ
আর মাথার সামনে আলো জ্বেলে রাখতে হয় সারারাত ।
মঞ্চ তো সংলাপ চায়, অথচ, কী বলবে বলো,
মন্ত্র জানো না, গান, বীজের নিহিত ধর্ম , যে ভাষায় লেখা , তা তোমার বশের নয়, ছিল না কখনো।
বনবিবি, সর্পমস্তা , ঘেঁটুর দোহাই
দোহাই মোচার খোলা, সমুদ্র সফরে
আকাশ ব্যতীত কোনো ভরসা নেই,
আকাশের ভাষাই শেখাও
যাতে তারা ছুঁয়ে
প্রত্যেক মূহুর্ত সান্ধ্য , নিপুন গেরিলা।
সঙ্গে থাকো,
প্রহরণ শব্দ হয়ে, কান্না হয়ে
রক্তে মিলে মিশে থাক জলের মতন।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।