দিব্যি কাব্যিতে নীতা কবি মুখার্জী

শিশু-মঙ্গল

শিশু দিবসের মহান লগ্নে শিশুদের ভালোবেসে
স্নেহ চুম্বন দিয়ে যান যেন দেবতা মাটিতে এসে।

মাতৃহারা, অনাথ শিশু সহায় সম্বলহীন
একটু সহায় হবে কি তোমরা?শোধ হবে মনুয‍্যত্বের ঋণ?

হোটেলে , বাজারে ,রেস্তোরাঁতে যত শিশু মজদূর
ছিঁড়ে ফেলে দাও শৃঙ্খল তার, অবহেলা করো দূর।

শিশুরা হাসবে, খেলবে, গাইবে, আনন্দে মতোয়ারা
সেই সুযোগেই শিখে নেবে তারা জীবনবোধের ধারা।

ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হোক বা না হোক মানুষ তো হোক আগে
বিবেক- বুদ্ধি, পরোপকার আর মনুষ্যত্ব যেন জাগে।

বিদেশে গিয়ে টাকা রোজগারের যন্ত্র যেন না হয়
আর্ত-দুখীর পাশে থেকে যেন সমাজের ভার বয়।

এই সমাজের পিতা মাতা আর
অভিভাবকের দল
চাপিয়ে দিচ্ছে প্রত‍্যাশার বোঝা,শিশুরা যে টলমল।

সুন্দর আর নিষ্পাপ শিশুকে ঠিক মতো দাও বাড়তে
অতিরিক্ত আকাঙ্খার বোঝা চাপিও না তাকে মারতে।

ছোট্ট কুঁড়িরা হতাশায় ভোগে প্রতিযোগিতার ভিড়ে
মৃত্যুর কোলে সঁপে দেয় তাদের, অসহায় নিজ নীড়ে।

একটি ফুলকে যত্ন করে পালন করো গো মা
বিদ্যাসাগর, নেতাজীর মতো
করে তোলো উপমা।

আমার দেশের, আমার মাটির ছোট্ট কুঁড়িশিশু যত
ফুটে ওঠে যেন কোমল কুসুম, শতদল শত শত।

স্বার্থপর এই দুনিয়াটাতে পথশিশু আজ বড়ো বিপন্ন
ঘরে ভাত নাই ! কে তুলে দেবে তাদের মুখে দুমুঠো অন্ন?
সারাদিন ধরে কাগজ কুড়ায় ছেলেটা পাড়ায় পাড়ায়
কখনো আমরা চোর বলে তাকে পুলিশ ডেকে ধরাই!

শোনো রে মানুষ ভাই,
পৃথিবীতে এসে ভালো কিছু করো যাতে ওরা বেঁচে যায়।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।