ক্যাফে টক

বাঙালির রাগ কমে গেছে মনে হয় আজকাল। এমনিতেই বাঙালি আমোদ প্রিয় কিন্তু ইদানিং যেনো আরও বেশি আমুদে হয়ে উঠেছে। ছোট বড় খারাপ ভালো যা কিছু ঘটনা ঘটলো তার থেকে একটু মজার রসদ খুঁজে নিয়ে একটু চটুল লেখা, একটা মজার ভিডিও বা রিল বা একটা গান বানিয়েই আত্মতৃপ্ত।
অথচ এই বাঙালিকেই আমি দেখেছি পকেটমার কে গণপিটুনি দিতে, সাইকেল চোর কে লাইটপোষ্টের সাথে বেঁধে ল্যাংটো করে মারতে , ট্রেনে বাসে সামান্যতম উশৃঙ্খলতার কারণেও সমস্ত কাজ ফেলে চড়াও হতে দেখেছি মারবে বলে।
কত রাগ তখন বাঙালির। নেতাজীর রক্ত টগবগ করে ফুটতে থাকে তখন সব বাঙালির মধ্যে।
আর এখন যখন একুশ কোটি টাকার চোর ধরা পড়ে । যখন ন্যায্য উপায়ে অর্জিত চাকরি না পেয়ে দিনের পর দিন কিছু ছেলে মেয়ে বসে থাকে ধর্ণায় আর তাদের চাকরি মোটা টাকায় বিক্রি করে কেউ দশটা বিশটা ফ্ল্যাট কিনে রাজা সেজে ঘুরে বেড়ায়। সেসব ধরা পড়ার পড়েও আর কোনো বাঙালি চিৎকার করে ওঠে না
” মার শুয়োরের বাচ্চা কে ”
আসলে ক্ষমতার কাছে নেতিয়ে যায় বাঙালি, কারণ বাঙালি জানে একুশ কোটির চোরটা কাল ছাড়া পেয়ে যাবে । তাকে আজ শুয়োরের বাচ্চা বললে কাল সে খুঁজে খুঁজে মারতে পারে বেরিয়ে এসে। তাই তাদের নিয়ে হিসেব কষে একটু আমোদ করা যায় তার চেয়ে বেশি কিছু নয়।
জনগণের মার সে শুধু গরীব আর নিরীহ দের জন্য।
নব কুমার দে