কবিতায় বলরুমে নব কুমার দে

হাত ছাড়ো
মরসুমী ব্যধির মত সারা শরীরে
ছ্যাঁক ছ্যাঁক করে প্রেম
ফুলেদের কাছে গেলে নরম হয় মন
অকারণেই বারান্দা অনাদরের অপেক্ষা করে
যে ছায়াগুলো সরে সরে গেলো
তাদের পিছু করতে নেই
ছায়ারা ফিরে ফিরে আসে, অভিশাপ
একা পাহাড়ে গেলে
বিষন্নতার সুন্দর ছবি আঁকা যায়
ঠাওর করলেই টের পাওয়া যায়
মৃত সন্তান কোলে তিনটি মা ছায়া
রাতে শেতলার থানে পাথর হয়ে পরে থাকে
বাঁক বদল হলেই গা গুলোয়
অদ্ভুত অভিসন্ধি ভাসে সব
মৃতেরা কথা বলতে আসে
সারা রাত ফিসফিস ফিসফিস
জীবন কুঁজো কাত করে জল ভরে গ্লাসে
তারপর তেষ্টা মিটিয়ে বলে
শ্মশানে সব ধূপের গন্ধই একই রকম লাগে
গা গুলোয়
ফুলেদের কাছে চলো, চলো গাছেদের কাছে
ঝরনা, পাহাড়, নদী,
আঁধার
যার কাছে গেলে মৃত্যূকেও ভালো লাগে
চলো ফিরে যাই
হাত ছাড়ো
একা হই
ওরা কথা বলতে আসবে
আমি জেগে থাকবো ওদের অপেক্ষায়।