হৈচৈ কবিতায় নির্মলেন্দু কুন্ডু

অগ্নিশিশু

জন্মালো এক অগ্নিশিশু বাংলা মায়ের গর্ভে,
তাঁর কাহিনী শুনলে সবার বুক যে ভরে গর্বে।
ছোট্ট শিশু,তাও তো দেখি সাহসে ভরপুর,
শুনতে যেত ভাষণ কত-রাত্রি বা দুপুর।
নিবেদিতা-অরবিন্দে মজলো যে তার মন,
হেমচন্দ্র কানুনগো তাঁর দীক্ষাগুরু হন।
তারপরেতে দায়টা নিলেন ভীষণ কাজের এক,
দৃপ্তস্বরে বললেন-“কেমন জব্দ করি দেখ্।
কিংসফোর্ডের তো বড্ড সাহস,যা খুশি তাই করে,
দেখুক সবাই,আমার হাতে কেমনে সে মরে।”
মজঃফরপুর গেলেন তিনি,প্রফুল্লকে নিয়ে,
প্ল্যান করলেন-“মারবো ওকে একটা বোমা দিয়ে।”
সেই মতো এক সন্ধ্যাবেলা দেখে জুড়িগাড়ি,
বোমা ছুঁড়লেন নিখুঁত লক্ষ্যে,শব্দ হল ভারি।
ভাবলেন তিনি কিংসফোর্ডই গেছেন বুঝি মারা,
হায় রে কপাল!অন্য দুজন হল যে প্রাণ-ছাড়া।
তখন তিনি পালিয়ে গেলেন ব্যস্ত দ্রুত পায়ে,
পুলিশ শেষে ধরলো তাঁকে এক স্টেশনের গায়ে।
আনা হল,বিচার হল,হুকুম হল ফাঁসি,
মৃত্যুঞ্জয়ী ক্ষুদিরামকে চিনলো ভারতবাসী।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *