।। ত্রিতাপহারিণী ২০২০।। T3 শারদ সংখ্যায় নমিতা বসু

এক ঘুম চাঁদ কল্লোলিনী কবিতা

ওগো ঘুমচাঁদ কল্লোলিনী কবিতা,
তোমায় ঘিরে যত অসহিষ্ণুতা ।
নিবিরতা গায়ে মেখে তীর থেকে আরো গভীরে চলে যাও ।
নিবিড় আলিঙ্গনে সঙ্গ সুধা নি:শেষে নিস্পেসিত হচ্ছে অবিরত ।
তোমাকে ভালোবেসে যেন একটা অদ্ভুত সুখনুভুতি । কিছুতেই ভেতরে ঢুকতে পারছিনা ।
তবুও পথে পথে সাথে সাথে ছায়া টেনে টেনে নিয়ে চলেছে । রোদ্দুর পেতে দিচ্ছে না ।
আড়াল হলেই গভীর রাত কর্ষণ করে নেমে আসে আবাল্য অস্থিরতা ।
তোমার আমার জানা অজানার দিঘিতে অসংখ্য পদ্মের কারসাজি । শুধু স্বেত পদ্ম। চোখ ফেরানো যায়না ।
কে বলতে পারে ঐখানেই হয়তো যন্ত্রনার মহামন্ত্র আবহ সঙ্গীত রচনা করে চলেছে বোধোনের ঘট নিয়ে?
কোনো সহস্রাব্দ যুগের ভোরের আলো পড়ুক তোমার নিটোল দুটি ঠোঁটে। জীবনের গঁlট গুলো আরো আরো শক্ত কারো ।অন্ধকারে আরো আরো ভেসে বেড়াক সপ্ত সুর। তার তেহাই গুলো কে ধরে ধরে নিয়ে আমি আরো একটা রাগ তেরি করবো ।
সেতারে ধুন তুলে নরম কাদা গুলো শক্ত হতে হতে প্রাণ পাবে। পাবে মর্জি মাফিক উল্লাস ,পাবে সুচতুর হাড় কাঁপানো উল্লাসী মেহগিনী আদর। তার ঢেউ তে আছড়ে পড়বে যত যন্ত্রনা ,
যত অস্থিরতা, যত পিরামিডের ক্ষয়িষ্ণুতা ।
তুমি আমি একাকার হযে যাব ,চারদিকের সাবলীল বাতাসের মধ্যে ভাসতে ভাসতে অনন্ত বেহাগী মাতালে নতজানু মুখোমুখি চেয়ে ।
ভৈরব একাকী সেথা না সুর্য্যোদয়ে না বিভীষিকায়,
শুধু অবিলতা দাগ টেনে টেনে মন্ত্রমুগ্ধ এক প্রশান্ত চিত্ত নরম ভোরের আগমনী সুরে ।
এ এক অনন্ত তৃপ্ত শৈবাল চির শান্তির আলপনা
আঁকে আঙ্গিকে আঙ্গিকে ।যার ত্রিকালনাদী শব্দ প্রহর ভেদি সিদ্ধার্থ । ও———-ম
তুমি আমি নই, আমাদের একাত্মতা গন্দ্ধর্ব কিন্নরী রেখা অনড়, অপরাজেয় ।
জীবনের ঢেউগুলো কোনোটা বা তীরে আছড়ে পড়ে টুকরো টুকরো বিন্দু হয়ে অস্তিত্ব হারায় ।
আবার কোনোটা বা মাঝ সমুদ্রে মিলিয়ে যায় ।
তীর পায় না ।
ভেবে দেখলে দুটো কিন্তু একই ।
ছোঁয়াটা যদি বাস্তব হয় তাহলে উপলব্ধিটাও গঙ্গা মাটি তো বটে ।
সেদিক থেকে ভাগ কাটলে ও যা , ভাগ শেষ থাকলেও তা ।

পানশালা থেকে বলছি

আমার সন্ধ্যে তোমার বসন্ত জানলার খুনসুটি সেরে রক্তাত কোনো শুদ্ধ গোলাপ আয়নায় জলোচ্ছ্বাসের সাথে বাহু বন্ধনে আবদ্ধ ।
ছায়ানীড় তবু নির্জন খোঁজে অবেলায় ।
মনোবীণায় কেন তার ছেঁড়া যুযুধান দুরত্ব?
হাওয়ায় ঘোরে রাজপথ, এটাই যে সচরাচারের উত্তর ।
ভেবে নিতে দক্ষিন দিক হাত বাড়ায় কাছেপিঠে সেই বেহিসেবি পানশালায় ।
গলাধরে যাওয়া নিরামিষ সেই আগুন ।
পড়ে থাকে শুধু উচ্চমূল্যবাদ ।
সাবলীল তবু আকাশে উঠেছে চাঁদ ।
পিরামিড যেন দেওয়াল চিত্রের এক উর্বসী নক্ষত্রের ফাঁদ ।
সবটাই মেহফিল ,সবটাই বেচে দিল, সবটাই বুনিয়াদ ,সবটাই বুনিয়াদ ।
বিদ্র:– পানশালা যখন আশ্রম হয়ে যায় প্রেম তখন উচ্চ মূল্যের দুখ: বাদ, যা মহাশূন্যের আশ্রয় পায় ।
প্রেম এক ঈশ্বর প্রাপ্তি ।রক্তে মিশে যায় ।হাজার ডায়ালিসিস করেও তাকে শূন্য করা যায় না ।
সে সর্বদাই পরিপূর্ণ । তাই তার প্রাপ্তিও যা অপ্রাপ্তিও তা ।
একটা বিক্ষুব্ধ প্রেম মাদকীয়তার থেকেও দশগুণ মাতাল হতে পারে । যার পরিণতির পঞ্চম জানালা চোখের জলটাই শুকিয়ে দেয় ।
তবুও কোথাও একটা ভাললাগা থেকে যায় যা জীবন পথের শক্তি হিসেবে ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।