সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে মৃদুল শ্রীমানী (পর্ব – ১৬)
পরদিন ছয় মার্চ সকালে পুলিশ আরবেইটার জাইটুং কাগজের সহকারী ম্যানেজার অস্কার নিবিকে তাঁর বাড়ি থেকে পাকড়াও করল। আর স্যামুয়েল ফিলডন, তখনো পায়ে গুলির আঘাতে শয্যাশায়ী, তাঁকেও ওই ছয় মার্চ পুলিশ আটক করল। অ্যালার্ম কাগজ চালাতেন অ্যালবার্ট পারসনস। ওঁকে ধরতে পুলিশ ছুটল অ্যালার্মের অফিসে। কিন্তু কোথায় পারসনস! স্ত্রী ও সঙ্গিনী লুসি পারসনস এর পরামর্শে পারসনস চিকাগো থেকে পালিয়েছিলেন।
রেলগাড়িতে চড়ে পারসনস গা ঢাকা দিয়েছিলেন উইসকনসিন প্রদেশের ওয়াওকিশো শহরে, তাঁর এক সমাজতন্ত্রী শুভানুধ্যায়ীর আস্তানায়।
পরবর্তী কয়েকটি সপ্তাহ জুড়ে পুলিশের সৌজন্যে চিকাগো থেকে নাগরিক স্বাধীনতা জিনিসটা বেপাত্তা হয়ে গেল। গণতান্ত্রিক রীতিনীতির তোয়াক্কা না করে ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশ জনমানসে পরিচিত সমাজতন্ত্রী ও নৈরাজ্যবাদী ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে ভাঙচুর ও তছনছ করা শুরু করল। ন্যূনতম প্রতিবাদ করতে গেলেও বেধড়ক মারতে শুরু করল। আর হুমকি দিল।
এইরকম চলতে চলতে মে মাসের চৌদ্দ তারিখে লুইস লিঙ ধরা পড়ে গেলেন। পুলিশের কাছে খবর ছিল লুইস লিঙ একজন বিস্ফোরক বিশারদ। পুলিশ আন্দাজ করল বোমা বানাতে সিদ্ধহস্ত লুইস লিঙই মারণ বোমাটি ছুঁড়েছিলেন।