রম‍্যকথা – মৃদুল শ্রীমানী

দুর্বাসা তাম্রস্থলী কথা।

এসেছেন দুর্বাসা। এসেছেন হাজার দশেক চ‍্যালা চামুণ্ডা নিয়ে। এসেছেন পাণ্ডবদের বনবাসী জীবনের আস্তানায়। দুর্বাসা এসেই ফতোয়া জারি করেছেন, ওহে পাণ্ডব ঘরণী, ভোজনের আয়োজন করো। আমরা নদীতে ডুব গেলেই আসছি।
দ্রৌপদী চিন্তায় কাতর। কি করে ওই দশহাজার উন্মত্ত হিতাহিত জ্ঞানশূন‍্য মৌলবাদী দুর্বাসা শিষ‍্যদের অন্ন যোগাবেন!
বংশীবদন দামোদর কৃষ্ণকে স্মরণ করলেন কৃষ্ণা যাজ্ঞসেনী। কৃষ্ণ হাজির। সমস্যার কথাটা শুনে চিরসখা গোপবন্ধু বললেন, যাও তো তোমার সেই তাম্রস্থলীটি আনো তো। সেই তাম্রস্থলীটি ছিল দ্রৌপদীর প্রতি সূর্যের বার্থ ডে গিফট। ওই থালাটির জোরেই পাণ্ডবললনা বনবাসী পঞ্চস্বামীকে আহার করিয়ে ভুক্তাবশেষ গ্রহণ করতেন। কৃষ্ণ বললেন, হলা পিয়সহি, আনো তো দেখি সেই স্পেশাল থালাটি।
তার পর সেই সূর্যের গিফট করা থালা নিয়ে যশোদানন্দন বৃন্দাবনবিহারী গোবর্ধনধারী গোবিন্দ বাজাতে শুরু করলেন, দুর্বাসা আর দশহাজার মৌলবাদীর খিদে দূর হ। দুর্বাসা আর মৌলবাদীর পেট আইঢাই হ।
ব‍্যস, দামোদর পার্থসারথির এক ফুঁয়ে দুর্বাসার ফন্দি ফিকির লাটে।
নরুকাকা তাই থালা বাজাতে বলে, ঘটি বাজাতে বলে, ঘরের আলো নিবিয়ে দিতে বলে।
কিন্তু সূর্যের দেওয়া থালাটি এখন কোথায়? বিজয় মাল‍্য, বা নীরব মোদি জানে কি?

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *