সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে মধুমিতা রায় (পর্ব – ৫)

এই জীবন…

স্কুল থেকে ফিরে অনেকক্ষণ ব্যালকনিতে বসে রইল মনিমালা। নিজের উপর রাগ হল। কেন সে জড়িয়ে পড়ছে! ঐটুকু ছেলে কেন একটা অসম সম্পর্কে জড়াবে! ওর সামনে এখন অনেকটা পথ,একটা পরিপূর্ণ পৃথিবী।ভালোবাসা কখনও কি ক্ষতি করে! ভালোবাসার জনকে তো আগলাতে হয় বিপদ থেকে। সে কেন উল্টে বিপদ আনবে!
মন স্থির করে নিল।সুমন ফিরতে এখনও ঘন্টাখানেক বাকি।অরিত্রকে ফোন করলো মনিমালা।
” শোনো,আগামীকাল বিকেল চারটের সময় বুড়ো শিবের মন্দিরের সামনে থেকো”
অরিত্র সম্মতি জানালে ফোন রেখে দিল মনিমালা।মনটা এখন অনেকটা শান্ত।ফ্রেশ হয়ে সুমনের জন্য পরোটা তৈরি করতে রান্নাঘরে ঢুকল মনিমালা।
হৈ হৈ করতে করতে সুমন এসে গেল।হাসি হাসি মুখে বলল… তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে।
পরোটা আলুরদম তারিয়ে তারিয়ে খেতে খেতে আড়চোখে মনিমালাকে দেখছিল সুমন।
” আজ আলুর দমটা ফাটাফাটি হয়েছে।আচ্ছা তোমার সারপ্রাইজটা জানতে ইচ্ছে করছে না!”
সুমনের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসল মনিমালা।জানে সুমন বেশিক্ষণ চেপে রাখতে পারবে না।
চা খেতে খেতেই সুখবরটা পেয়ে গেল।সত্যি কতদিন বাইরে যাওয়া হয় নি! কাশ্মীর! সে তো কত্তদিনের স্বপ্ন।আনন্দে সুমনকে জড়িয়ে ধরল মনিমালা।
রাতে ঘুম আসছিল না।ভিতরে ভিতরে একটা উত্তেজনা কাজ করছে।কি কি বলবে অরিত্রকে মনে মনে গুছিয়ে নিল।অরিত্র কিভাবে রিঅ্যাক্ট করবে? … ভাবতে ভাবতে একসময় ঘুমিয়ে পড়ল সে।

ক্রমশ…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।