পাতা তোকে চুমু খাই ! চুমু ! তারা গুলো জ্বলে মিটি মিটি !
কোনো হুঁশ নেই ! ঘাড় গুঁজে লিখি শুধু চিঠি আর চিঠি — !
পাতা তোকে চুমু খাই ! চুমু ! তোর বুকে গড়েছি যে বাড়ি !
কেন ? কোনো এক কিশোরীর চোখে যদি পাখি হতে পারি !
ঘাস ! তুমি ভালো আছো ? দ্যাখা করা ভুলে গেছি ? তাই বুঝি ?
বেশ , তবে আজ এই রণসাজ পরে বলো কাকে খুঁজি ?
মাঝে মাঝে রাঙা হাঁস সেজে , পালকের রঙ রোদে নাড়ি !
কেন ? কোনো এক কিশোরীর চোখে যদি আলো হতে পারি !
নদী তোকে ভালোবাসি ! নদী তোকে আলোমাসি বলে ডাকি !
ডেকে , ডেকে ছুটে যাই ! রাত ভোর তোর কোলে শুয়ে থাকি !
শুয়ে , শুয়ে তারা নাম লিখি ! ঘেমে গেলে হই মরুচারী !
কেন ? কোনো এক কিশোরীর চোখে যদি নদী হতে পারি !
মরীচিকা ! মরি মরি ! হুলো রাজা , মিনি পরী, ওড়া বুলি !
এসো এসো ফিরে এসো ! হীরে এসো , চুনী এসো মুঠো খুলি !
মুঠো খোলো ! খুলে বাঁধো তাকে ! চলো পথ, চলো মেধা সারি !
কেন ? কোনো এক কিশোরীর চোখে যদি ভাষা হতে পারি !
২। আমি জেগে দেখি
আকাশের বোন নীল ঢেলে বলে
সামনে কে ?
দোপাটির চারা বেড়ে বেড়ে জলে
নাম লেখে !!
আকাশের ভাই হুস্ করে যায়
হাঁস এঁকে !
পাহাড়ের চূড়ো সেই চিঠি পায়
ঘাস থেকে !!
চারিদিকে মায়া , হও তার মানে
চুপ যদি !
জলছবি আঁকে কবিতায় , গানে
রূপ নদী !!
ডিঙি গুলি ভাসে সোনা নদীটার
কূল ধরে !
আমি জেগে দেখি রামধনু হার
ফুল ভোরে !!