সাহিত্য দিয়েই সাংবাদিকতায় আসা। জীবনের প্রথম কবিতাটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হওয়ার পর সিনিয়র সাংবাদিকের অনুপ্রেরনায় সাংবাদিকতা শুরু করি। আমার ওই কবিতাটির প্রতিটি লাইন ছিল নাকি একটি করে নিউজের তথ্য ছিল। লেখালেখির এই পুঁজিটুকু নিয়ে মফস্বল ছেড়ে রাজধানীতে আসি। বিভিন্ন দৈনিকে কবিতা গল্প প্রকাশও হয় কিন্তু টাকার তা থেকে টাকা আসে না। আর ঢাকা শহরে থাকতে অনেক টাকাও প্রয়োজন হয়। তাই সাংবাদিকতায় সক্রিয় হই। পুরোদমে চলে সাংবাদিকতা। কিন্তু সাহিত্য চর্চাও থেমে থাকেনি। সাহিত্য চর্চা নিয়মিত ধরে রাখতে ২০১৪ সালে ‘বেলা অবেলা’ নামে সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদনা শুরু করি।
এই বেলা অবেলার নিয়মিত প্রকাশনায় এপার বাংলা ওপার বাংলার অসংখ্য লেখক- লেখিকার সাথে পরিচয় হয়। তাদের লেখা নিয়মিত প্রকাশ করি ‘বেলা অবেলা’তে । কলকাতার পরিচিতদের মধ্যে বেশি যোগাযোগ হত ইন্দ্রনীল সেন গুপ্ত, ডা. সোনালী, প্রদীপ গুপ্ত, অজিতেশ নাগ, নরেশ মন্ডল, বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়, ও পুষ্পিতা চট্টপাধ্যায় প্রমুখ। নিয়মিত খোজ খবরসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা প্রশাখা নিয়ে আলোচনা হয়।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারী ঠেকাতে লকডাউনের ফাঁদে পড়ে দেশ। অনেকটা ঘরবন্দি হয়ে পড়ি। তখন ফেসবুক সাহিত্য চর্চাটা বেড়ে যায়। একদিন ডা. সোনালী দিদি ফোন দিয়ে আমাকে বললো। এখন তো ঘর ঘরবন্দি। এসময় টা কাজে লাগাও। কলকাতার জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল দৈনিক টেক টাচটকের জন্য কাজ করো। এই অনলাইনের প্রতিদিন সাহিত্য পাতা প্রকাশ পায়। এই পাতাগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্ধ শুক্রবারের পাতা সাহিত্য মেহফিল। এই পাতার বাংলাদেশ পর্বের সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করতে দৈনিক টেক টাচ টকের কর্মকর্তা প্রাপ্তি সেনগুপ্ত এর সাথে কথা বলতে বললেন। আমি তার সঙ্গে কথা বললাম। বেশ আন্তরিকতার সাথে তিনি দায়িত্ব বুঝে দিলেন। শুরু হলো কাজ। কাজ করতে গিয়ে কোথাও কোন সমস্যা হলেই তার দ্রুত সমাধান দিতেন প্রাপ্তি সেনগুপ্ত। তিনিও পরিপূর্ণ একজন কবি। বেশ বন্ধুমনা।
এরপর প্রতি বৃহষ্পতিবার ঢাকা থেকে মেইল পাঠিয়ে বিরক্ত করি ঋষি দাদাকে। মেইল পেলেই সাথে সাথে জানিয়ে দিতেন মেইল পেয়েছি। তারপর লেখকদের নামের সূচি প্রচ্ছদ দিয়ে সাজিয়ে পাঠিয়ে দিতেন। প্রতিটি প্রচ্ছদই আলাদা -আলাদা প্রশংসার দাবি রাখেন। প্রতি সপ্তাহে লেখা পাঠিয়ে কতটুকু কাজ করতে পারছি জানি না। হয়তো অনেক ভুল ভ্রান্তি আমার আছে। বাংলাদেশের লেখক পাঠকের মধ্যে ইতোমধ্যে বেশ সাড়া পড়েছে। দৈনিক টেক টাচ টকের বাংলাদেশ লেখক- লেখিকাগণ অনেক মতামত জানিয়েছেন বিভিন্ন সময়। তাদরে মতে,সাহিত্যের এই পোর্টালটি বেশমসৃদ্ধ। সাহিত্যের সবগুলো উপকরণ দিয়ে সাজানো এই পোর্টালটি। লেখক পাঠকের সাথে সুর মিলিয়ে বলতে চাই পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে দৈনিক টেক টাচটক। দৈনিক টেক টাচটকের সম্পাদনা পরিষদের একজন হতে পেরে আমি গর্বিত। তাই আন্তরিক অভিবাদন দৈনিক টেক টাচটক কর্তৃপক্ষ।