• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় মৌসুমী মণ্ডল দেবনাথ

সাঁতার

গেটটার মাথায় এখনও পিংক বোগেনভিলিয়া ছেয়ে থাকে সারাবছর। বিখ্যাত এক কবির হলুদ বাড়িটির একতলায় লাইব্রেরী, বৈঠকখানা ও লেখার টেবিলের পাশেই ঘরোয়া বার কাউন্টার। আধবোতল স্কচ, অ্যান্টিক ওয়াইন গ্লাসের টুংটাং।
দু’বছর আগে এখানেই ছোট রোজ-উডের তাকে বুদ্ধদেবের শায়িত স্টেচু। পরের তাকে সদ্য কৈশোরউত্তীর্ণ এক নবদম্পতির ছবি ছিল। কাচের বাটিতে জুঁই বা বেলফুল। ঘরটা ফুলের গন্ধে ম ম করতো।
বছর তিরিশের কবিপত্নী বাচিক শিল্পী। দোতলায় থাকেন। তিনতলায় আবৃত্তির স্কুল। দুজনের দেখাসাক্ষাৎ হয়ে যায় কখনোসখনো গেটে বা একতলার মেন-দরজায়…
হঠাৎই একদিন কবির মোবাইলে হোয়াটস অ্যাপে একটা মেসেজ এলো।
“হুইদিন প্রচন্ড বৃষ্টিতে ফাঁকা সুইমিং পুলে তুমি আমারে জোর কইরা পনেরো মিনিট ডুবাইয়া, মরছি নিশ্চিন্ত হইছিলা। অতসীরে বিয়াও করছো।
গ্রামে আমারে লোকে কইত, জলের পোকা। চক্ষের নিমেষে শন বিলের এই পাড় থেইকা হুইপাড়ে ডুব দিয়া পার হইতাম। ট্রেনাররা কইছে, বিরল প্রতিভা। আধঘন্টার উপর শ্বাসবন্ধ করে থাকতে পারে! গতমাসে আটলান্টিক মহাসাগর সাঁতরাইয়া পার কইরা রেকর্ড করছি। তুমি জানতাই না আমি জলের পোকা …”
গাল বেয়ে দু ফোঁটা সমুদ্রের জল গড়িয়ে পড়লো কবির। সেই থেকে তাঁর সমুদ্রে সাঁতার আর শেষ হচ্ছে না…
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।