সাপ্তাহিক রম্য সাহিত্যে মন্দিরা হাজরা (বসু) (পর্ব – ৭)

রোগনামচা

শল্য – পর্ব
জেনে শুনে “কান করেছি  দান ”
মহাভারতের পদানুসরণ করেই, এ অধমের জীবনেও প্রায় কাকতালীয় ভাবেই কর্ণপর্বের  পরপরই  “শল্যপর্বে” র সূচনা  হয় । আমার  জীবনের  এ এক মহতী অভিজ্ঞতা যে এন এইচ এস আক্ষরিক  ভাবেই  ” ক্রেডেল টু  গ্রেভ ” সেবার ব্যাপারে  নিবেদিত প্রাণ ।  একবার  এদের  আপদ্কালীন  বিভাগে প্রবেশ করলে পরে, কাজে লাগুক না লাগুক, খানিকটা রক্ত  এঁরা  শুষে নেবেই নেবে ।আর একবার যদি  সার্জেনদের খপ্পরে পড়েন তাহলে সে আপনার বাঁ পায়ের কড়ে আঙুলের নখটিই হোক না  কেন ; কিছুটা অন্তঃত কেটে না রাখলে এঁরা নিজেদের ধর্মভ্রষ্ট বলে মনে করেন । এখানে বলে রাখি যে কোনো ব্যক্তি বিশেষ বা সম্প্রদায় কে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য নয়, বিশেষত লেখিকা স্বয়ং এই ” ক্ল্যানের ” গ্যাংমেম্বার; তাই  কেউ আহত হলে আমি আন্তরিক ক্ষমাপ্রার্থী । তবে একথা বোধহয় মিথ্যা নয় যে সার্জেনরা ভাববাচ্য  অপেক্ষা  কর্মকারকে  বেশী বিশ্বাস রাখেন ।  এই শল্যবিদরা অতি বাল্যকাল থেকে  “হাত নিসপিসিনি রোগের”  মাস এপিডেমিকে আক্রান্ত হন । সুতরাং তাক বুঝে বাগে পেলে নিজেদের ” পাউন্ড ওফ্ ফ্লেশ ” আদায় করে না নিয়ে এঁদের আর উপায় থাকে না ।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।