ভিজে গেছে বৃষ্টির পরে লাঙস্
হলমার্ক কান্না, শেষপর্যন্ত বিক্রি করতে হবে,
“আরো লড়াই”,”আরো বাচো”
বেচে থাকার পদবীটা কি ?
লক্ষ শ্রী ছিল সকালের আকাশে ,
আজ যে মাঝ বয়সে অগোছালো বিকেল।
বিক্রি হবে কি সেলসম্যান কলম!
চাইছে সূর্য ঘুমিয়ে যাক।
ভালোবাসায় আপেক্ষ জীবন।
ভারী ব্যাগে, মাস্টার মশাই এর মুখে বাগধারা,
আমার কোনো প্রেমিকা নেই,
আছে ধিক্কার।
শব্দে জলজ নৌকো, কিংবা
ভালোবাসার অধিকার।
যবনিকায় শেক্সপিয়ারের নাটক,
“বড্ডো অন্ধকার, হাতটা ধরো।”
পিশাচ, পশু যে কোনো আলো
আজকাল কালো মেঘ জুড়ে নেই সেদ্ধ প্রেমিকের টেলিফোন।
সবাই লড়াই করে, কেউ হেরে যায়।
কেউ ভাবে হৃদয় জিতে যায়
পৃথিবীর গভীরতম অসুখের দিনেও।
ভালোবাসা উত্তপ্ত আজ,
গরম জলে, তোয়ালে
এ টুকু শীতকালীন স্নানেই সকলের যোগাযোগ সম্পর্ক।
ফাকা বিয়োগ।
ভর্তি হয় না সুগন্ধী পারফিউম।
নদী ফিরে এসো আর একবার
ফোয়ারায়,
গরীবের পায়রা বোধহয় বেচে উঠবে
ভাঙাচুড়া কাচের ঘরে ।
নতুন চাদরে ঢেকে রেখো
অসহায় প্রেমিকার চোখের জল ।
করোনার কান্না
কালচে সূর্যাস্তে পৃথিবীর মন জুড়ে ,
প্রতিযোগী তোমার নীল আটলান্টিক পাখি ।
জানতে, ইচ্ছে করে এত নীল
রঙের খেলাঘরে কোন তৃষ্ণায় ।
কেমন করে টিনটোরেটার যীশু ক্ষমা করেছিল
শেষ পেরেকে বিদ্ধ রক্তের স্যাটেলাইট ।
ভেসে চলেছে সে ছবিতে
তর্কের পরিচয় ,
বিশ্বকোষ আঙুল ।
এক মুঠো হাত লুকিয়ে আজো
কাদি ভালোবাসার মাধ্যাকর্ষনে ।
অনেক খানি বদলে যেতে যেতে
তোমার শহরে যেতে চেয়েছিলাম ।
মার্কোপোলো ছদ্মনামে, ভেনিসে মৃত জাহাজ পাড়ি দিয়েছে সেখানে ।
শুয়ে রয়েছে হাজারো
নিরপরাধ স্পেনীয় মৃতদেহ ।
যাদের স্থাপত্য, রদা নির্মিত বাচার অধিকার ।
শুধু যুদ্ধের রননীতি, হিংস্র কালো ছোপ বদলায় নি।
ভাইরাসের মত জীবনীশক্তি নিয়ে ,
জড়বস্তু জয়ী করোনা বিপ্লব ।
স্রোতবিহীন রক্তহাসিতে
মানুষের বাচার দাবি।
আর কপটতার সুখে, তরতাজা হত্যালীলা।
ইরানের সমুদ্রে সেবার জমেছিল
পেট্রোল বৃষ্টি,
আর আজ ভাসছে
হিমোগ্লোবিন ফ্রুটেজ।