‘করোনা – কি নাকি একটা ভাইরাস, চোখে দেখা যায় না, দুনিয়াশুদ্ধ লোককে খাঁচায় বন্দী করলে গো’, চ্যালাদের বলতে বলতে মুখে একখান জর্দা পান ঠেসে দিলেন গুরুজী। পান ভরা মুখেই গজরাতে থাকেন,’যা…যা…যে যার ঘরে যা…, এ-ই ক’দিন কেউ জটলা করিসনে একদম।’
করোনা পৃথিবীর গৃহবন্দীর একাদশতম দিন; শহরতলির এক জনবহুল জনপদ। এখানেই ওদের আখড়া। তার সামনেই এক মিটার অন্তর ক্ষুদ্র বৃত্তের সারি। সারির মাথায় দাঁড়িয়ে দু’জন পুরুষ মানুষ, পাশেই তিনি।
লাভ-ক্ষতির হিসাব না জানা মানুষটা তাঁর আজীবনের সঞ্চিত মূল্যেই ক্রয় করেছে কয়েক’শ ক্ষুধার্তের কয়েকদিনের বেঁচে থাকার রসদ।
মধ্যবিত্ত যখন আত্মতুষ্টির উপায় খুঁজছে – কাজের মাসির বিনা কাজে বেতনটাই তো তাদের দান বাপু!