এক পঙতি’র কবিতা গুচ্ছে মানিক বৈরাগী

১ -সূর্য কন্যা রোদেলার ক্ষমতা মাত্র কয়েক ঘন্টা, ঘানি টানতে লাগে বহুবছর।
২ -তোমায় ছুঁয়ে আসা মিহিন বাতাসে রোদের তীব্রতা হারিয়ে যায় ।
৩ -তুমি জানালা খোলে দিলে বাতাস শীতল হয়ে যায়।
৪ -পর্দার ঢেউখেলানো বাতাসে জ্বলে ওঠে নিয়নবাতি।
৫- ঝড় থেমে গেলে তুমি বৃক্ষদেবী।
৬ -দূরের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে বৃষ্টিভেজা গুল্মফুল।
৭ -যে নদে নদী হারিয়ে যায় সেখানে পাড়া জন্মায়।
৮ -তোমাদের উঠোনে নূর নূর বলে আঁচড়ে পড়া ঢেউয়েরা কবিতা শোনায়।
৯- সিন্ধুর উদ্যত জলরাশি কবিতার আশে শান্ত হয়ে আসে কুতুবদিয়ার চরে।
১০ -জারণ-বিজারণে যোজন বিয়োজনের বাষ্পীভূত বুদবুদ বলে ধরণীও নয় একক।
১১ -রাধা রওনক বেলায় কৃষ্ণজাহান রোশনাই করো কালার আশায়।
১২ -প্রভাতের মিহিন আলোয় বুক পেতে বলছি, মানুষ আজ বড্ডো অসহায় ।
১৩ -পাপগুলো প্রেমের, ঈশ্বরীর মতো শুভ্র সকাল।
১৪- আলো ঝলোমল স্বপ্ন সমূহ সামলে রাখো,বাতাসে অচৌখিক আততায়ী।
১৫ -কবিতা’রা উড়ে গেছে খবরের কোলাহলে।
১৬ -ধ্যান জ্ঞান দ্রবীভূত হলে পৃষ্ঠাগুলো নিকুঞ্জবন।
১৭ -বদন দেখে মনের খবর বুঝে যে জন,সেই তো ভাগ্যধন।
১৮- মধুমাস, বাতাসে ভাসে মিশ্রফলের রসপোড়া যাদুবাষ্প ঘ্রাণ!!
১৯ -আম্রপালির মৌ মৌ লোবানে,অলির গুঞ্জরণে কবিতা মাতাল।
২০- অতঃপর মিছিলের জংধরা ফেস্টুনও এঁকে এঁকে কেটে খায় পোষ্য ইঁদুর।
২১- দিবাঘুমে দিবাস্বপ্নে ঘুরেবেড়াই উর্ধ্বাকাশে, কথা কই ইথার থেকে ভূতলে।
২২ -গৃহপালিত প্রাণী আর গৃহপালিত স্বামী সমব্যথী।
২৩ -ছা-পোষা বাবা-মা’র স্বপ্ন কে মুঠোয় নিয়ে বিপ্লব চুদাচ্ছি, তখন গর্বাচেভ কষে পোঁদ মেরে দিলো।
২৪ -বজ্র-মেঘের সমকলার অতিষ্ঠতায় বিজলির জ্বলনে বৃষ্টি ঝরে পড়ে মৈনাক চুড়ায়।
২৫- শ্রেণী চরিত্র ঃ-গ্রামে এলে মওদুদি মুজাহিদ শহরে গেলে বিপ্লবী কমরেড।
২৬ -মেঘ বিজলি বাদল সহন দহন যার, সেই তো জনতার।
২৭ -ধূপধোঁয়া দেখে সবাই, চুপধোঁয়া কেউ দেখেনা হায়!
২৮ -মানুষের আয়ু নিয়ে খেলতো আজরাইল, এখন খেলছে হাসপাতাল।
২৯ -উজাড় হয়েছে বন উজাড় হয়েছে মন।
৩০ -তোমাদের বাগানে বসেনা পাখি তাই যায়না আঁখি।
৩১ -যখন নিজেই নিজের কাছে বেগানা তখন ফুল পরিও ভাল্লাগেনা।
৩২ -ভেজারোদের বৃষ্টিমাখা বাতাসে লোবান মুখর একটি মুখ হাসে।
৩৩ -রক্ষিতার সাথে রমণ-রতি শেষে ভেকধারীকে, লোকে রাজনীতিক বলে।
৩৪ -মরণের আমার ডর-ভয় নাইরে খোদা, ভয় শুধু লোভ-লালসায় পতিত হওয়া।
৩৫- ছোঁ মন্তর ছোঁ, থোক বরাদ্দ ক্যু।
৩৬ -পিতৃদেবের ঐশীবাণী কন্যার বুলি ইঁদুরের গালে ও জালে, ভেসে যায় বেণুজলে।
৩৭ -কবিতার দরদী স্বর বলে বিরাজিত হও জনারণ্যে, পাবে অমৃত ভালোবাসা।
৩৮ -যে জীবন ধুম্রজলের সে জীবন তোমার নয় সখি।
৩৯- ফাঁদপাতা বীভৎস উল্লাসে পশু হত্যাকারী প্রাণীর নাম আশরাফুল মাখলুকাত।
৪০ -বালুচিকায় ডুব দিয়ে দেখি, মরীচিকার আয়নায় আলোকিত অন্ধকার।
৪১ -ফ্লাস চোখে দেখো প্রকৃতির রূপ , মনের গভীরে নিজেই প্রকৃতির স্বরূপ।
৪২ -চা-বাগানের মতো উড়োবৃষ্টি এখনো কি ঝরে পড়ে তোমাদের উঠোনে?
৪৩ -তোমাদের ক্ষেতের কলমিলতারা লতাতে লতাতে বলে তুমি আমার নও।
৪৪ -আয়না জানে চাঁদমুখে শিশির কণার আলোক চিত্র কিভাবে আঁকতে হয়।
৪৫.-সুদূরতমা তোমার সুকেশী ষোড়শী নাতনীও কবিতা শুনে হাস্যমুখে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।