ধলেশ্বরীর অন্য ধারায় ভ্রমণ কাহিনীতে লোকমান হোসেন পলা
by
·
Published
· Updated
রুদ্রসাগর নীরমহল হিন্দু ও মুসলিম স্থাপত্য শৈলীর সমাহার
নীরমহল (অর্থ “পানি প্রাসাদ” )টি ১৯৩০ সালে রুদ্রসাগরের হ্রদের মধ্যবর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিকিয়া বাহাদুর কর্তৃক নির্মিত একটি রাজকীয় প্রাসাদ এবং এটি ১৯৩৮ সালে সম্পন্ন হয়। এটি অবস্থিত। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে ৫৩ কিলোমিটার দূরে মেলাঘরে প্রাসাদ রুদ্রসাগর লেকের মাঝখানে অবস্থিত এবং হিন্দু ও মুসলিম স্থাপত্য শৈলীর সমাহার করে।
এই প্রাসাদটি ভারতের সবচেয়ে বড় এবং পূর্ব ভারতে একমাত্র। ভারতে শুধু দুটি জল প্রাসাদ আছে অন্য আরেকটি রাজস্থান রাজ্যের জাল মহল।
ত্রিপুরার ‘হ্রদ প্রাসাদ’ হিসাবে পরিচিত, নির-মহল একটি গ্রীষ্ম বসবাসের হিসাবে নির্মিত হয়েছিল। এটি সুন্দর রুদ্রসাগর হ্রদে প্রাসাদ নির্মাণের জন্য মহারাজা বীর বিক্রম মানিকিয়া বাহাদুরের ধারণা ছিল এবং ১৯২১ সালে তিনি তাঁর জন্য প্রাসাদ নির্মাণের জন্য ব্রিটিশ কোম্পানি মার্টিন ও বার্নসকে স্বীকৃতি দেন। কাজটি সম্পন্ন করার জন্য কোম্পানিটি নয় বছর সময় নেয়। মহারাজা বীর বিক্রম মানিকিয়া বাহাদুর ‘মানিকিয়া রাজবংশের’ ছিলেন, যা আজ বিশ্বের একক লাইন থেকে দ্বিতীয় বলে মনে করা হয়।
প্রাসাদ হল মহারাজা এর মহান স্বাদ এবং হিন্দু এবং মুসলিম ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মিশ্রণের তার চিত্তাকর্ষক ধারণা।
প্রাসাদ দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। প্রাসাদটির পশ্চিমাঞ্চল আন্ডার মহল নামে পরিচিত। এটা রাজকীয় পরিবার জন্য তৈরি করা হয়েছিল পূর্ব দিকের একটি খোলা আড়ম্বরপূর্ণ থিয়েটার যেখানে নাটক, থিয়েটার, নাচ এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলি মহারাজা এবং তাদের রাজকীয় পরিবারের আনন্দ উপভোগের জন্য সংগঠিত হয়। প্রাসাদ মোট ২৪ টি কক্ষ রয়েছে।
রুদ্রসাগর লেকের পানিতে অবতরণে নীরমহল দুটি স্টারওয়েজ ঢুকিয়েছে। ‘রাজঘাট’ থেকে হাতে চালানো নৌকা দিয়ে মহারাজ প্রাসাদে যান।
যাতায়াত,
আগরতলা থেকে চাঁদের গাড়িতে ৫৩ কিঃমিঃ মেলাঘর যেতে সময় লাগে ১ ঘন্টা ৩০মিনিট মেলাঘর থেকে রুদ্রসগার নৌকাঘাট অটোদিয়ে যাতে ১০ মিনিট ঘাট থেকে নৌকায় ২০ মিনিট সময়।