• Uncategorized
  • 0

T3 || আমি ও রবীন্দ্রনাথ || বিশেষ সংখ্যায় কাজী সামসুল আলম

জমিদার রবীন্দ্রনাথ

সেদিন বাড়িতে এলেন সুকুমারবাবু, রবীন্দ্র গবেষক। মাঝে মাঝেই তিনি আসেন ছুটির দিনে, ছড়া, গল্প নিয়ে নানান গল্প গুজব হয় আমাদের মধ্যে। সেদিন তিনি হঠাৎ আমায় বললেন, জমিদার হয়ে জমিদারির বিরুদ্ধে বলার মত সৎ সাহস দেখিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। উনি বললেন, ”জানেন কল্লোলবাবু, জমিদারির অংশ ভাগে পাওয়ার পর উনি জমির মালিক তথা কৃষকদের উন্নতির জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন, যার ফলশ্রুতি শান্তিনিকেতন। আমি মনোযোগ দিয়ে অনেক না জানা কথা শুনলাম। শেষে আর একটা দারুন গল্প বললেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুখেই বলি, “একটা ঘটনা আমার খুব মনে পড়ে। একবার মাঠের মাঝখান দিয়ে পাল্কীতে চলেছি, দুপুরের প্রচণ্ড রোদে চাষিরা ক্ষেতে কাজ করছিল, হঠাৎ হই হই করে ছুটে এসে পাল্কী থামাল। আমি বললুম, কী চাস? সে বলল, একটু দাঁড়া । দাঁড়াব কী, আমার গাড়ির সময় হয়ে যাবে যে, সে কি শোনে ? বলে একটুখানি দাঁড়া না। রইলুম পাল্কী থামিয়ে, সে ক্ষেতের মধ্যে আঁকা বাঁকা আলের পথ ধরে দৌড়ে চলে গেল । একটু পরে ফিরে এসে একটা টাকা আমার পায়ের কাছে রাখলে। আমি বললুম , এর কি প্রয়োজন ছিল ? কেন শুধু শুধু এজন্য আমায় দাঁড় করালি ? সে বলে – দেব না, আমরা না দিলে তোরা খাবি কি ? আমার ভারি মিষ্টি লাগল তার এমন সহজ করে সত্যি কথা বলা। তাই মনে আছে আজ পর্যন্ত, — আমরা না দিলে তোরা খাবি কি ?” আমি সুকুমারবাবুকে বললাম, দাদা আপনি ছুটি পেলেই আসবেন, এমন অনেক না জানা কথা শুনব ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।