কবিতায় কেয়া রায়

পাহাড়ি মেয়ের উপাখ্যান

মেঘ-কুয়াশা-পাহাড়ির বৃষ্টি গায়ে মেখে
যে খরস্রোতা সদাচঞ্চল মেয়েটি হেঁটে চলেছে
কখনও সে একলাটি পথ হাঁটে তো কখনও কোনও এক জানা-অজানা পথিক সহযাত্রী হয়ে ওঠে…

সে জানে না কোথায় চলেছে এতকাল ধরে
পাকদণ্ডী পথের হদিশ মেলে শুধু যার কাছে
পথের একপাশের বুনোফুলের মেলা মাথা নুইয়ে মেয়েটাকে অভ্যর্থনা জানায়
টুপটাপ করে অবিরাম ঝরতে থাকে কখনও মেঘ-কুয়াশার জল তো কখনও বৃষ্টির জল…

শুকনো চড়াই-উতরাই পথ কখন যেন আর্দ্র-স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে ওঠে
মেয়েটা একবার করে একধারের খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়ে কতকটা কি যেন ভাবতে থাকে
আর একবার করে একধারের পাহাড়ের গায়ে ঘেঁষে দাঁড়িয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ;

এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে সে তার হাঁটু অবধি অবিন্যস্ত অবাধ্য চুলগুলোকে সামলাতে সামলাতে
খানিকটা মায়া কাটিয়ে কতকটা দ্বিধা-দ্বন্দ্বের দোলাচল পেরিয়ে
আনমনে কখন যে দামাল মেয়েটা পাইন গাছটার গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে বলে ওঠে,
“যাকে একদিন অনেকটা নিজের করে পাব ভেবেছিলাম, তাকে আর যাই হোক নিজের জীবনের ভুল বলে ভাবতে পারি না কখনোই”।।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।